অনেক দূরের পথ তাই সাপ্লাই অফিসে না আসতে পেরে অনেকেই বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে। কখনও ভাগ্যক্রমে যদিও বা সংযোগ মেলে বিদ্যুৎ দফতর থেকে জানানো হয় কর্মী সংকটের কথা, আশ্বস্ত করা হয় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সমাধান হওয়ার।
আরও পড়ুন: ভারতের এক সিদ্ধান্তেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের! এরপরই সীমান্তে যা ঘটছে, এ দৃশ্য অকল্পনীয়
advertisement
কিন্তু তারপরেও কেটে যায় দুই একদিন আর এভাবেই চলতে চলতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে এলাকার মানুষের। বয়স্ক কিংবা রোগীদের ঔষধপত্র কিংবা ফ্যান এবং অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনা মানেই বৃথা। কারণ সেগুলো ঘরেই পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়। সন্ধে হলেই ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা ওঠে লাটে। পাড়ার চায়ের দোকানে একটু খবর দেখা কিংবা গৃহিণীদের টিভি সিরিয়াল দেখা সেসব বন্ধ বহুদিন ধরে। কাজকর্ম থেকে সন্ধের পরে গ্রাম্য রাস্তায় বাড়ি ফিরতে ও গা ছমছম করে ঘন অন্ধকারে। কিন্তু এ সমস্ত দুঃখের কথা শোনার মত সময় নেই বিদ্যুৎ দফতরের সরকারি আধিকারিকদের।
এ বিষয়ে আধিকারিকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। ঘুরে ফিরে তাদের মুখেও শোনা যায় কর্মী সংকটের কথা। কিন্তু সে সমস্ত বিভাগীয় বিষয়, সাধারণ মানুষের তাতে কিবা যায় আসে। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় যথেষ্ট বেশি মূল্যে এ রাজ্যে দিতে হচ্ছে বলে জানান তারা। কিন্তু তবুও সামান্য স্বস্তি টুকু মিলছে না।
Mainak Debnath





