মকর সংক্রান্তির দিনকয়েক আগে থেকে দেখা যায় পৌষ পার্বণ বা ঘুড়ি উৎসবের প্রস্তুতি। ঘুড়ি উৎসব হাওড়ার বিভিন্ন গ্রামে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার আরও জাঁকজমক ঘুড়ির উৎসব পালন। প্রতি বছর সকাল থেকে সন্ধা ঘুড়ি উড়ানোর চরম ব্যস্ততা গ্রামে।
আরও পড়ুন- দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই! মহিলার পকেটে থাকা ফোনটা চালু করতেই…ভয়ঙ্কর! ঘাম ছুটল পুলিশেরও
advertisement
ভাড়ায় ‘বউ’ মেলে ভারতেও! ‘যুবতী’ হলেই প্রতি বছর ‘স্ত্রী’ করে নিয়ে যায় কারা…? জানলে শিউরে উঠবেন
পৌষ পার্বণ মানে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠে। এই পিঠে উৎসব মানেই নানা পিঠের সঙ্গে নলেন গুড়। তিনদিনের পিঠে উৎসবে সরাইপিঠে, পুলি পিঠে , পাটিসাপটা, মালপোয়া আরও নানা পিঠে তৈরিতে ব্যস্ততা দেখা যায় মা ঠাকুমাদের। একই সঙ্গে এই মকর সংক্রান্তিতে ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজোর রীতি। নানা রীতি বা রেওয়াজ এর সঙ্গে পৌষ পার্বণে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ঘুড়ি।
আরও পড়ুন- প্রজনন ক্ষমতা তলানিতে! জনসংখ্যা যে হারে কমছে, শীঘ্রই ‘বিলুপ্ত’ হতে পারে…! জানেন কোন রাজ্য?
অধিকাংশ স্থানে বিশ্বকর্মা পুজো বা স্বাধীনতা দিবসে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি দেখা যায়।কিন্তু মকর সংক্রান্তিতেও ঘুড়ি উৎসব পালিত হয়। এই ঘুড়ির উৎসবে মেতেছে হাওড়ার পাঁচলা এলাকার বেশ কিছু গ্রাম। এখানে এই ঘুড়ির উৎসবের রীতি বা রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। শিশুদের সঙ্গে প্রবীণরাও এই ঘুড়ির উৎসবে মেতে ওঠে। শৈশবের ফেলে আসা মুহূর্ত ফিরে পায় বয়স্করা। ছোট বড় সকলে এই ঘুড়ির উৎসব দারুণভাবে উপভোগ করেন।
যদিও বর্তমান সময়ে এই ঘুড়ির উৎসব মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার করতে নাইলন সুতো। এই সুতো মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে পশু-পাখি ও মানুষের। তাই নাইলন সুতোর পরিবর্তে পুরনো দিনের সুতির সুতো ব্যবহারের বার্তা দিচ্ছেন পরিবেশ কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে বেলা যত বাড়তে থাকে আকাশে রঙ-বেরঙের ঘুড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। দুপুর থেকে বিকেলে সর্বাধিক ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়। পাঁচলার গঙ্গাধরপুর গোন্ডলপাড়া জুজারসাহা জয়নগর গ্রামে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি বেশি দেখা যায়।
রাকেশ মাইতি