প্রজনন ক্ষমতা তলানিতে! জনসংখ্যা যে হারে কমছে, শীঘ্রই 'বিলুপ্ত' হতে পারে...! জানেন কোন রাজ্য?
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Population: ভারতের ইউরোপ বলা হয় এই রাজ্যকেই। দেশের সেরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। কর্মসংস্থান এবং মাথাপিছু আয়ও এখানে ভাল। এটি প্রায় সব দিক থেকেই একটি উন্নত রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে আজ পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ভবিষ্যতে এখানে জনসংখ্যার অভাবের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং অনেক ইউরোপীয় দেশে দ্রুত হ্রাস পাওয়া জনসংখ্যা তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে এই দেশগুলিতে জনসংখ্যার অভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু এখন এই সমস্যা ভারতের কিছু রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের কিছু উন্নত রাজ্যে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। জানেন দেশে কোন রাজ্যের জনসংখ্যা হুহু করে কমছে? ভাবতেও পারছেন না!
advertisement
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং অনেক ইউরোপীয় দেশে দ্রুত হ্রাস পাওয়া জনসংখ্যা তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে এই দেশগুলিতে জনসংখ্যার অভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু এখন এই সমস্যা ভারতের কিছু রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের কিছু উন্নত রাজ্যে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। জানেন দেশে কোন রাজ্যের জনসংখ্যা হুহু করে কমছে? ভাবতেও পারছেন না!
advertisement
হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি ভারতের কেরল রাজ্যের। ২০২৪ সালে এই রাজ্যের আনুমানিক জনসংখ্যা ৩.৬ কোটি। ১৯৯১ সালে এখানে জনসংখ্যা ছিল ২.৯০ কোটি। অর্থাৎ গত ৩৫ বছরে এই রাজ্যের জনসংখ্যা মাত্র ৭০ লাখ বেড়েছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সেসময় এই রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৩.৩৪ কোটি। অর্থাৎ এই রাজ্য স্থিতিশীল জনসংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জন করেছে।
advertisement
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, সেসময় এই রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৩.৩৪ কোটি। অর্থাৎ এই রাজ্য স্থিতিশীল জনসংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, করোনা মহামারির পরে কেরলের জনসংখ্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এর আগে প্রতি বছর রাজ্যে ৫ থেকে ৫.৫ লাখ শিশু জন্মাত। কিন্তু ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কমে ৩,৯৩,২৩১-এ নেমে এসেছে, অর্থাৎ চার লাখেরও কম।
advertisement
জনসংখ্যা বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমান জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে ২.১ উর্বরতার হার প্রয়োজন। অর্থাৎ প্রতি নারী পিছু ২.১টি শিশুর জন্ম হওয়া উচিত। কেরল ১৯৮৭-৮৮ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছিল। কেরল এমন একটি রাজ্য যেখানে প্রায় ১০০% শিশু হাসপাতালেই জন্মায়। এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুব ভাল বলে বিবেচিত হয়।
advertisement
শিশু মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে এই রাজ্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখানে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে মাত্র ছয়। যেখানে জাতীয় গড় হল ৩০। বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা বলছেন, গত তিন দশক ধরে কেরলের জনসংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু শিশু জন্মের সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়া উদ্বেগজনক।
advertisement
advertisement