রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় সবজি চাষের ক্ষেত্রে চাষিদের সহায়তা করতে সবজির বীজ বিতরণ করবে জেলা উদ্যান পালন দফতর। অন্যান্য বছরের থেকে বীজ সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মোট সাত ধরনের সবজির বীজ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ টাটকা মরশুমি শাকেই হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন! জেনে নিন সুস্বাদু সেই রেসিপিগুলো
advertisement
চলতি বছরে জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয়েছে। এছাড়া বিক্ষিপ্ত বা অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় শীতকালীন সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। জেলার সেই সমস্ত ব্লক গুলিকে প্রাধান্য দিয়ে সবজি চাষের বীজ সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম দফায় জেলায় মোট ২০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের জন্য বীজ সরবরাহ করা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ৩২০ বিঘা জমিতে সবজি চাষের বীজ দেওয়া হবে।
জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট সাত ধরনের সবজির বীজ সরবরাহ করা হবে চাষিদের। এরমধ্যে ঢেঁড়শ, কাঁচা লংকা, বেগুন, উচ্ছে, ঝিঙে, লাউ, কুমড়ো চাষের জন্য বীজ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ লম্বা নাকি কোঁকড়া, চুল অনুযায়ী বেছে নিন চিরুনি, তবেই পারফেক্ট হবে চুল
চাষিদের সম্পুর্ন বিনামূল্যে এই বীজ সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক চাষি সর্বাধিক ১৫ বিঘা জমিতে সবজি চাষের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য চাষির নিজস্ব জমি থাকা আবশ্যক। চাষিরা পঞ্চায়েত সমিতি বা ব্লক অফিসে সবজি চাষের জন্য আবেদন জানাবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আবেদন খতিয়ে দেখে জেলা দফতরের পাঠানো হবে। সেখান থেকে চাষিদের বীজ সরবরাহ করা হবে। হাইব্রিড প্রজাতির এই বীজ চাষের মাধ্যমে লাভবান হবেন চাষীরা। এছাড়াও সবজি চাষের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি দেওয়া হয়। অসময়ের সবজি চাষের জন্য পলি হাউস নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট সাড়ে ৬ হাজার বর্গ মিটার পলিহাউস নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৯০০ মিটার পলিহাউস নির্মাণের কাজ ইতিমিধ্যেই সম্পূর্ন হয়েছে।
জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক রাহুল চক্রবর্তী জানান,প্রধানত অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে পূর্ব বর্ধমান জেলায় গ্রীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন সবজি চাষে প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে চাষিদের উৎসাহ করতে বীজ সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু নতুন সবজির বীজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলায় সবজি চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চফলনশীল সবজি চাষে উপকৃত হবেন চাষিরা।
Saradindu Ghosh