চলতি বছরের প্রথম থেকেই এই গান অনুশীলন করছিল তারা। আর শিশু দিবসের দিন দেড়শো কণ্ঠে পাঠ হল জাতীয় স্তোত্র।
আরও পড়ুনঃ জীবে প্রেম করে যেই জন…! ১২০টি পথকুকুরের অভিভাবক বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী, অবলাদের সেবাই যুবকের পরম ধর্ম
ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি এবং মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালে এই গানটি রচনা করেন। শুধু তাই নয় তার লেখা বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠে (১৮৮২) অন্তর্ভুক্ত ছিল। গানটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ চেতনার জন্ম দিয়েছিল। তারপর কেটেছে দেড়শ বছর। ভারত স্বাধীন হয়েছে বহুদিন। তবুও এই গান শিহরিত করে সকলকে, দেশের প্রতি ভালবাসা, শস্য-শ্যামলা ভারতকে সবার সামনে উপস্থাপিত করে এই স্তোত্র।
advertisement
তাই এই গানের দেড়শো বছরপূর্তি উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ের ভগবতী দেবী শিক্ষা নিকেতনের পড়ুয়ারা দেড়শো কণ্ঠে গাইল ভারতের জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দেমাতরম’।
এদিন বিদ্যালয় সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে বন্দেমাতরম গানের রচনা এবং তার তাৎপর্য তুলে ধরা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তরুণ তরুণী থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের কী ভূমিকা ছিল? কতটা প্রাণ সঁপে দিয়েছিলেন তাঁরা? ২০০ বছরের ব্রিটিশ পরাধীনতা থেকে কীভাবে মুক্তি পেয়েছে ভারত, তা সবিস্তারে তুলে ধরা হয়। এরপর সম্মিলিত কন্ঠে উচ্চারিত হয় সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাম্ শস্যশ্যামলাং মাতরম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দীর্ঘ প্রায় সাত থেকে আট মাস ধরে প্রতি দিন প্রার্থনা লাইনে এই স্তোত্র উচ্চারণ করে পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, প্রতিটি বিদ্যালয় কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা লাইনে অন্তত উচ্চারিত হোক এই স্তোত্র। তবে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান এক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।





