আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের শেষ দিন ‘টুকলি সন্ত্রাস’! পরীক্ষা নিয়ে লাভ কী
ভালোবাসার টানে ৩০-৩৫ বছর আগে রিকশাচালক বিশ্বনাথ সহিসের হাত ধরে অজানার পথে পা বাড়িয়েছিলেন শহরের সম্ভ্রান্ত রায় পরিবারের সদস্য কমলা রায়। তবে এ প্রেম কাহিনী গতে বাঁধা নয়, সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি তাঁরা। কিন্তু আজও তাঁরা একসঙ্গে থাকেন। জীবনের চরম ওঠা-পড়ার মধ্যেও ‘রিকশাওয়ালা’ বিশ্বনাথের হাতটা পাকড়ে ধরে আছেন কমলা। তিন দশক পেরিয়ে আজও তাঁরা ‘লিভ-ইন’ করেন।
advertisement
ভ্যালেন্টাইস-ডের প্রাক্কালে চারিদিকে এখন সম্পর্ক ও প্রেমের উদযাপন নিয়ে দেখনদারির বাড়াবাড়ি, সেখানে এই ভালোবাসার গল্প নবপ্রজন্মের কাছে উদাহরণ বইকি। আজও পুরুলিয়া শহরে ‘বিশা-বিশি’ বিশ্বনাথ-কমলার প্রেম কাহিনী মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়।
ছোটবেলাটা স্বাচ্ছন্দের মধ্যে দিয়ে কাটলেও মনের মানুষকে বেছে নেওয়ার পর দ্রুত নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েথিলেন কমলা। তিন দশক পরে আজও প্রতিদিন সকালে দু’জনে একসঙ্গে কাজে যান। চরম অভাবেও কেউ কাউকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি।
কমলা এখন ‘রায়’ নয়, বিশ্বনাথের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে তিনিও কমলা সহিস। শহর পুরুলিয়ার দুলমির কেতকার সহিস পাড়ার এক চিলতে ভাঙা ঘরে তাঁদের ভালবাসার সংসার। সে ঘরে সূর্যের আলো সেভাবে ঢোকে না। কিন্তু প্রেমের আলোয় জ্বলজ্বল করে গোটা ঘর। তাই বাইরের অন্ধকার ভেতরটাকে কালো করতে পারেনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কমলার বাবা ছিলেন পুলিশের দারোগা। ফলে এই প্রেম নিয়ে কম কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। কিন্তু ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে থাকবেন এটা কোনদিনই ভাবতে পারেননি কমলা। তাই তিনি এই সাহস দেখাতে পেরেছেন। লায়লা-মজনু বা রোমিও-জুলিয়েট এর মতই হয়ত অমর হয়ে যাবে বিশ্বনাথ-কমলার প্রেম কাহিনী। তবে ইতিহাসের ওই প্রেমগুলোর মত বিয়োগান্তক পরিণতি নয়, এখানে শুধুই আছে প্রাণের আরাম।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি





