এই রীতি শুরু হয়েছিল বছরকয়েক আগে জয়নগরের ভূমিপূত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায়েয় জন্ম শতবর্ষে। সেবার জয়নগর থানার তৎকালীন আইসি পুজো কমিটিগুলিকে প্রস্তাব দেন, পুজোর একটি দিন হেমন্তকে উৎসর্গ করে দিনভর তাঁর গান বাজানো হোক। সেই প্রস্তাব মেনে সপ্তমীর দিন হেমন্তের গান বাজে জয়নগর জুড়ে প্রতিটি মণ্ডপে। এমনকী হেমন্তের ছবি রেখে শ্রদ্ধাঞ্জলিও দেওয়া হয় মণ্ডপে মণ্ডপে। পরে সত্যজিত রায়ের জন্ম শতবর্ষেও একই ভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল জয়নগরে। এবার একই ভাবে উত্তমকুমারের জন্ম শতবর্ষে শ্রদ্ধার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
সোমবার জয়নগর টাউন হলে একটি অনুষ্ঠানে এলাকার ১৫৯টি পুজো কমিটির হাতে সরকারি অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির কর্মকর্তা, পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিক, স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এই অনুষ্ঠানেই জয়নগরের জয়চণ্ডীতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক চন্দন চট্টোপাধ্যায় হেমন্ত, সত্যজিতের শতবর্ষ উৎযাপনের প্রসঙ্গ টেনে এবার সপ্তমীতে দিনভর মণ্ডপে উত্তমকুমারের গান বাজানোর প্রস্তাব রাখেন। উপস্থিত পুজো কমিটির কর্মকর্তারা হাততালি দিয়ে প্রস্তাবে সমর্থন জানান। পরে বহু পুজো উদ্যোক্তারাই জানান, হেমন্ত-সত্যজিতের ধাঁচে এবার পুজোয় উত্তমের গান বাজাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-‘দেহব্যবসা করে অকালে জীবনটাই শেষ…! স্বামীর নরকযন্ত্রণায় ৩৪-এ মৃত্যু বিখ্যাত বলি নায়িকার, শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার ছিল না কেউ, চিনতে পারলেন?
তাঁরা বলেন, ‘জয়নগর-মজিলপুর সংস্কৃতির শহর। এর আগে আমরা সকলে মিলে দুর্গাপুজো হেমন্তময় করে তুলেছিলাম। এবারও উত্তমকুমারের গানে মুখরিত হবে এলাকা। উত্তমকুমার বাঙালির অন্যতম সেরা আইকন। বাংলা বিদ্বেষী এই আবহে তাঁর গান বাজানোর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! আমাদের পুজোয় এবার প্রতিদিনই উত্তমের গান চালানো হবে। উত্তমকুমারকে শ্রদ্ধা জানাতে অন্য নানা পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।’