অঞ্জনা ধারা নামের একজন মহিলা এইসকল আনলিমিটেড খাবার বিক্রি করছেন। কিন্তু এই টাকার মধ্যে কীভাবে আনলিমিটেড খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে? দোকানের কর্ণধার অঞ্জনা বলেন, “সেলের উপর আমাদের লাভ হয়। সেল যত বেশি, লাভ সে রকম হবে। তবে আমরা লাভ খুবই কম রেখে এই সকল খাবার বিক্রি করছি।”
অঞ্জনা ধারার বাড়ি বর্ধমানের গাঙপুর সংলগ্ন বামুনপাড়া গ্রামে। পরিবারে তাঁর স্বামী এবং ছোট বাচ্চা রয়েছে। স্বামী খেতমজুরি করে সংসার চালাতেন। তবে খেতমজুরি করে সংসার চালানো হয়ে উঠেছিল খুবই কষ্টকর। তাই স্বামী স্ত্রী দু’জনে মিলে ছোট্ট এই খাবারের স্টল দিয়েছেন। সমস্ত রান্না করেন অঞ্জনার স্বামী এবং সেই খাবার বিক্রি করেন অঞ্জনা। নিজেদের ছোট বাচ্চাকে মানুষ করার জন্য উপার্জনের তাগিদে শুরু করেছেন ছোট্ট ব্যবসা। অঞ্জনা ধারা আরও জানিয়েছেন, খাবার যে রকম আনলিমিটেড, সে রকম পরিশ্রমও করতে হয়। সকাল থেকে সংসারের যাবতীয় কাজ সামলানোর পরে তারপর এখানে আসতে হয়।
advertisement
বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ মোড়ের কাছেই রয়েছে এই দোকান। দোকানের নাম ‘মায়ের রান্নাঘর’। প্রত্যেক দিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দোকান খোলা থাকছে। প্রথম দিকে অল্প পরিমাণে খাবার বিক্রি হলেও এখন বেশ ভাল পরিমাণের খাবার বিক্রী হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





