এখনকার কলকাতা এক সময় লোক মুখে 'কলিকাতা' নামেও পরিচিত ছিল। যদিও এখনও অনেক মানুষের কাছে কলিকাতা হয়ে রয়ে গিয়েছে মহানগরী। দুই প্রাচীন শহরের মাঝ দিয়ে বইছে হুগলী নদী। এক প্রান্তে কলকাতা আর অন্য প্রান্তে হাওড়া। হাওড়ার পাশে রয়েছে কলকাতা বা কলিকাতা মহানগরী, তা সকলের জানা। তবে হাওড়ার মধ্যে কলিকাতা, এটা হয়তো জানা নেই অনেকের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এ কী কাণ্ড! এক হাতে ছুড়ি, রক্তাক্ত অন্য হাত! রক্ত দিয়ে যা লিখলেন যুবক, চমকে যাবেন আপনিও
হাওড়ার আমতা ব্লকের মধ্যে রয়েছে শস্য-শ্যামল প্রাণ চঞ্চল 'কলিকাতা গ্রাম'। এ কলকাতা থেকে মহানগরী কলকাতার ভৌগলিক দূরত্ব প্রায় ৬০- ৭০ কিলোমিটার। মহানগরীর সঙ্গে তফাৎ অঢেল, তবে খুঁজলে দুই জায়গার বেশ কিছু মিলও খুঁজে পাওয়া যায়। মহানগরী কলকাতায় কংক্রিটের জঙ্গল, আমতার কলিকাতা গ্রাম সবুজে ঘেরা। মহানগরীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে সারি সার কংক্রিটের ইমারত। তারই বুক চিড়ে গিয়েছে নানা রাজপথ। আর কলিকাতা সবুজ ঘেরা তার মাঝ গিয়েছে গ্রামীণ সড়ক। যে সড়কে বিলাসবহুল গাড়ি না দেখা গেলেও, গ্রামের মানুষের কাছে তা কালো পিচ ঢাকা রাজপথই।
আরও পড়ুনঃ পলাশ-শিমূলে লাল পুরুলিয়ায় দোল কাটাবেন? আবহাওয়া বাধ সাধবে না তো? জানুন পূর্বাভাস
এ কলিকাতায় রয়েছে কালীতলা, কালীঘাট, নিমতলা, গড়ের মাঠ, ধর্মতলা।মহানগরীর উত্তর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গা বেয়ে বয়ে গিয়েছে হুগলি নদী। ঠিক তেমনি কলিকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বয়ে গিয়েছে দামোদর। কলকাতা বর্তমানে দেশের প্রধান বন্দর। লোকমুখে জানা যায় কলিকাতাও একসময় বন্দর ছিল। রসপুরের কলিকাতা গ্রামের কয়েকশো পরিবার সেসময় কলিচুন উৎপাদন করত। সেই চুন নদীপথে চলে যেত দূর-দূরান্ত। শুধু চুন নয় আরও কত কী! ব্যবসা-বাণিজ্য সেই সময়ে এই নদীপথেই চলত। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যোগাযোগ মাধ্যম ছিল কলিকাতা বন্দর। তবে কালের কড়াল গ্রাসে হারিয়ে গিয়েছে সেই ব্যস্ত বন্দরের ছবি।
মহানগরী' কলকাতা বাসি তথা বাংলার গর্ব। কিন্তু কলিকাতা গ্রামের মানুষের কাছেও তাঁদের গ্রাম নিয়ে গর্বের শেষ নেই। কলকাতা হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী। কলিকাতা গ্রামও সে সময়ের ইতিহাস সাক্ষী।
রাকেশ মাইতি





