ইতিমধ্যেই বিষয়টি ছাত্রীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই এই ব্যাপারে সিকিউরিটি অফিসারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
খোদ নিরাপত্তা রক্ষীই রাতের বেলায় বহিরাগতদের এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ চত্বরে মদের আসর বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছেন নিরাপত্তা রক্ষী। এমনকি অশালীন ব্যবহারও করছেন তিনি। এমনই অভিযোগ করছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, নিরাপত্তা রক্ষীদেরই যদি এই হাল হয় তাহলে আমরা নিরাপদে থাকব কী করে! এই ঘটনায় আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হোক।
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীদের একাংশ। ছাত্রীদের একাংশ ওই অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, গত ১০ জুলাই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করে হস্টেলে যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসে থাকা গোলাপবাগ-তারাবাগ সেতুর কাছের নিরাপত্তাকর্মী গুড্ডু ভকতকে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পায় কয়েকজন ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে কয়েক জন বহিরাগতও ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ছাত্রীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীরা অশালীন ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।
যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নিরাপত্তাকর্মী। তাঁর দাবি,তিনি মদ্যপ ছিলেন না এবং বহিরাগত কেউ নয়, সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র ছিলেন। তাঁকেই বহিরাগত বলে বলা হচ্ছে। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিক্যুইরিটি অফিসারকে রিপোর্ট দিতে বলেছি। আপাতত ওই নিরাপত্তাকর্মীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”