মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের ঝাড়গ্রাম ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এক দিবসীয় খাদ্য মেলার আয়োজন করা হয়। খাদ্য মেলার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আহারে-বাহারে, খাবো পেটে-সাজব সাথে’। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রীরা তারা তাদের নিজের মত করে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে বিভিন্ন খাবারের স্টল দিয়েছিল। স্টলগুলির নাম ছিল নজরকাড়া, যেমন হ্যাংলা, মনের খিদে, খাদ্য রসিক বাঙালি। হস্তশিল্পের একটি স্টল সহ মোট ১৬টি স্টল ছিল খাদ্য মেলায়। ফুচকা থেকে ঝালমুড়ি, ফ্রাইড রাইস থেকে চিলি চিকেন সবই পাওয়া যাচ্ছিল খাদ্য মেলায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিম, মাংস না হলেও চিন্তা নেই! এই স্কুলের মিড ডে মিল মানেই সারাবছর পুষ্টি আর পুষ্টি
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বছর এই খাদ্য মেলা দ্বিতীয়তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। খাদ্য মেলার উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রামের ডিআই (মাধ্যমিক) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়। মেলা পরিদর্শনে এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম ননীবালা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিপদ বিশুই ও বাণীতীর্থ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তীর্থদ্রুতি ভাওয়াল। ডিআই শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই উদ্যোগকে আমি অত্যন্ত সাধুবাদ জানাই। সকলেরই যে কোনও বিদ্যায় পারদর্শী হওয়া দরকার। মেয়েরা এই খাদ্য মেলায় বিভিন্ন মুখরাচোক খাবারের রান্না করে প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা সকলেই রান্নার জগতে স্বাবলম্বী। এটাও শিক্ষার একটা অঙ্গ”।
এদিনের এই খাদ্য মেলা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “দ্বিতীয়তম বর্ষের খাদ্য মেলায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে হস্তশিল্প। খাবারের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিজের হাতের তৈরি গয়না থেকে শুরু করে নানা সামগ্রীর স্টল দেওয়া হয়েছে খাদ্য মেলার প্রাঙ্গণে। আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বাড়ি থেকে এত সুন্দর খাবার তৈরি করে নিয়ে আসবে তা আমি কখনওই ভাবতে পারছিনা। খুব টেস্টি ও মুখরোচক খাবার তৈরি করেছে তারা”।
বুদ্ধদেব বেরা