নন্দীগ্রাম থানা ও স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যায়, নন্দীগ্রামের এই দুই যুবক গুজরাতের কচ্ছ জেলার পাডানার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। শেষ কয়েক বছর পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে গুজরাতের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করছিল ওই দুই যুবক। বিভিন্ন কারখানা ঘুরে গুজরাতের কচ্ছ এলাকার পাডানার ওই কারখানায় যোগ দেন। কিন্তু শনিবার কারখানায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজের সময় বয়লারে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় দ্রুত স্থানীয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চন্দন দাসের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রণবের।
advertisement
আরও পড়ুন: সিউড়ির গর্ব! ভুতুবাবুর বাসস্ট্যান্ড কীভাবে বদলে গেল নেতাজি সুভাষ বাসস্ট্যান্ডে? জানুন অজানা ইতিহাস
পূর্ব মেদিনীপুরের ওই দুই যুবকের পরিবারের সূত্রে জানা যায় শেষ পাঁচ মাস ধরে ওই কারখানায় কাজ করত তারা। চন্দনের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। প্রণব বাবা-মায়ের একমাত্র রোজগেরে সন্তান। এই দু’জন পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে একপ্রকার শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে পরিবার থেকে গ্রামের মানুষজনেরা। নন্দীগ্রাম এক পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সেখ আলরাজী বলেন, “মৃত্যুর খবর পেয়েই আমাদের এখান থেকে পাঁচজন গুজরাতে মৃতদেহ আনতে গিয়েছেন। এরা একেবারে দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাদের মৃত্যুতে পরিবারগুলি কার্যত অসহায় হয়ে পড়ল। আমরা দুই পরিবারের পাশে রয়েছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নন্দীগ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা এলাকা। কারখানার তরফ থেকে ইতিমধ্যে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে । ওই কারখানার তরফ থেকে ইতিমধ্যে গুজরাত থেকে দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে পৌঁছবে দেহগুলি। সংসারের উন্নতির জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়েছিল মৃত চন্দন দাস ও প্রণব দিন্দাকে। আর কাজে গিয়ে তাদের এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছে না পরিবারের মানুষজন।