জানা গিয়েছে, সেলিম ও আব্বাস দু’জনেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মশাগ্রামের কেরিলি গ্রামের বাসিন্দা। আব্বাস আলি মল্লিক ভিনরাজ্যে কাজ করতেন। দিন কয়েক আগে বকরি ইদ উপলক্ষে বাড়িতে ফিরেছিলেন। ইদ উপলক্ষেই কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি চার চাকা গাড়িতে করে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। একটি অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে গভীর সমুদ্রে যেতে পারল না মাছ ধরার ট্রলার, অপেক্ষা বৃষ্টির
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। পাল্টি খেয়ে গাড়িটি জলের মধ্যে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার জেরে গাড়িতে থাকা সকলেই গুরুতরভাবে জখম হন। মৃত আব্বাসের মা জানান, দশঘরার কাছে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে বলে শুনেছি। ওরা বন্ধুরা মিলে ফাংশান দেখতে গিয়েছিল। গ্রামের লোকেরাই আমাদের খবর দেয়। তারপরই আমরা জানতে পারি।
দুর্ঘটনার পরই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই গাড়ির ভেতর থেকে ছয় জনকে বার করে আনেন। আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর চার জনকে জামালপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে গুরুতর জখম আব্বাস আলি মল্লিককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে আনন্দ মুহূর্তেই বদলে যায় শোকের পরিবেশে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী