আগে ত্রিপুরার রীতি মেনে দেবীর পুজো হলেও পরবর্তী কালে ব্রাহ্মণ্য মতেই পুজো শুরু হয় এখানে। একটা সময় এখানে জল জঙ্গলে ভর্তি ছিল।তার মাঝেই এখানে চলত পুজো। পরে ব্রিটিশ আমলে আটচালার মন্দির তৈরি হয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সেই মন্দির ভেঙে পড়ার পর নতুন মন্দিরটি তৈরি হয় কয়েক বছর আগেই।
আরও পড়ুন : কালো মাটির বাঁকে বাঁকে জীবন্ত ইতিহাস, আদিগঙ্গার পাড়ে বিষ্ণুপুরের শ্মশানে পূজিতা দেবী করুণাময়ী
advertisement
ধর্মীয় রীতি বাদ দিলেও এই মন্দিরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চৈতন্য মহাপ্রভু নীলাচলে যাওয়ার পথে ভক্তদের নিয়ে কয়েকদিনের জন্য এখানে এসেছিলেন। সেই কথা স্মরণ করে মন্দির প্রাঙ্গণে তাঁর একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থ ‘রাজমালা’তে উল্লেখ রয়েছে এই মন্দিরের কথা। ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির চত্বরের মাটির নীচ থেকে বহু মূর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার হয়। যেগুলি পাল ও সেন যুগের নিদর্শন বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। এ বিষয়ে সুন্দরবনের প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসের গবেষক দেবীশংকর মিদ্যা জানান, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে বহু মূর্তি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছিল। সেগুলি রাজ্যের একাধিক মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে। বর্তমান ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের মাটির নীচে রয়েছে পাল ও সেন যুগের প্রাচীন সেই মন্দিরটি। আজও কালীপুজোয় সেই প্রাচীন মন্দিরটি দেখতে হলে ঘুরে আসতেই পারেন মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর।