উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন ত্রিনাথ পুজো করলে স্থানীয় গৃহস্থের মঙ্গল হবে। অন্যদিকে গ্রামেরও উন্নতি এবং মঙ্গল ঘটবে। সেই আশাতেই ২৭ বছর আগে এলাকাবাসী শুরু করেন চারদিনব্যাপী ত্রিনাথ মেলা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, পরবর্তীতে এই পুজো করার পরই এলাকাবাসীর জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া ফিরে আসে। চাকরিবাকরি পান এলাকার বহু বেকার যুবক যুবতী। মনস্কামনা পূর্ণ হয় সন্তানহীন মায়েদের ।
advertisement
আরও পড়ুন : শৈশবে বাবা মায়ের মৃত্যু, অনাথ ভাইবোনের দেখভাল করতে স্কুলছুট দাদার জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে
তার পর এই পুজোর মাহাত্ম্য এতটাই ছড়িয়ে পড়ে তাতে দূরদূরান্ত থেকে সাধু সন্তরা জড়ো হন ত্রিনাথ পুজোর মঙ্গলযোগ্য অনুষ্ঠান করতে। সেরকমই এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় শতাধিক সাধু সন্তরা এসে উপস্থিত হয়েছেন ত্রিনাথ মেলায় । হয়েছে হোমযজ্ঞএবং এলাকাবাসীর মঙ্গল কামনায় পূজা অর্চনা। তবে শুধু পুজোই নয়, গ্রামবাসীদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকম ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান, বাউল গান এবং গ্রামীণ মেলা। সবমিলিয়ে এক মহামিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে ফুলিয়া ঘোষপাড়ার ত্রিনাথ মেলা।