প্রয়াগরাজ কুম্ভের মত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন কুম্ভমেলার ঘাট মাঠ পরিদর্শন করেন। মেলা কমিটির উদ্যেক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সপ্তর্ষি ঘাটের বিপরীতে শিবপুর ফুটবল মাঠে হচ্ছে কুম্ভের মূল মঞ্চ। যেখানে ভূমি পুজো করে কুম্ভের ধ্বজা তোলা হয়েছে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সাধুদের আখড়া পরবে ওই মাঠেই। প্রচুর পূন্যার্থীর ভিড় জমবে।
advertisement
পুলিশ সুপার দেখেন কাঠের পাটা দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। যা খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। আধিকারী ও মেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন শালবল্লার খুঁটি দিয়ে ভাল করে মঞ্চ করতে হবে। ফিট সার্টিফিকেট মিললে তবেই ছাড়পত্র পাবে মঞ্চ। পাশাপাশি পুলিশ সুপার বলেন, দশ তারিখ থেকে নো এন্ট্রি চালু করা হবে। প্রয়োজন মত তা শিথিল করা হবে। এলাকার সাধারন মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখা হবে। পাশাপাশি যারা কুম্ভ মেলায় যোগ দিতে আসবেন তাঁরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেটাও দেখা হবে।
গতবারও পুলিশি নিরাপত্তা থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভাল ছিল ত্রিবেনীতে। এবার সেটা আরও ভাল করার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে। সব দফতরকে নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। মহকুমা শাসক অন্য আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করেছেন। রিফিউজি ক্যাম্পে নাগা সাধুদের রাখা যাবেনা জানিয়েছেন। তাদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের মত জরুরি গাড়ি চলার জন্য রাস্তা ছাড়া থাকবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু দশ তারিখ থেকে সেদিকেও নজর রাখা হবে। প্রয়াগে যে দুর্ঘটনা হয়েছে।সেরকম যাতে ত্রিবেনীতে কিছু না হয় তার জন্য পুলিশ তার বেস্ট দিয়ে চেষ্টা করবে বলে জানান পুলিশ সুপার। ডেকরেটর মালিক অরুন কুমার ভট্টাচার্য জানান,চল্লিশ বাই কুড়ি ফুটের মঞ্চ তৈরিহচ্ছে।যেখানে চল্লিশ জনের বেশি লোক উঠলে বিপদ হতে পারে।পুলিশ সুপার যেমন বলেছেন তেমনই শালবল্লা দিয়ে করা হবে। কুম্ভমেলার আহ্বায়ক অভিনব দাস বলেন,সতর্কতা নিতে পুলিশ প্রশাসন যা বলছে আমরা করছি।মঞ্চ তৈরির ক্ষেত্রেও সেটা হবে।ফিট সার্টিফিকেট ডেকরেটর দিলে আমরা পুলিশকে দিয়ে দেব।