TRENDING:

সাপ-জোঁককে সঙ্গী করেই রোজগারের পথে, ঘাস কেটে সংসার চালাচ্ছেন বাস্তবের দুর্গারা! জানেন কোথায় হচ্ছে এমন কাহিনী?

Last Updated:

Tribal Women Business : আদিবাসী মহিলারা মূলত এই বর্ষার সময়ে লম্বা লম্বা ঘাস সংগ্রহ করেন। বিশেষ এই ঘাস ব্যবহার করা হয় ঝাঁটা তৈরিতে। যা নিজের বাড়ির পাশাপাশি তাঁরা ব্যবহার করেন বিক্রির জন্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ : বর্ষা এলেই দুটো লক্ষ্মী লাভ হয় তাদের। মানে না ভয়। উৎকণ্ঠাকে উপেক্ষা করে সামান্য রোজগারের আশায় রক্তমাংসের গড়া এই দুর্গারা যান জঙ্গলে জঙ্গলে। সংগ্রহ করেন এই ঘাস। থাকে সাপের ভয়, থাকে জোঁকের ভয়। তবুও কখনও নিজের পরিবারের জন্য, আবার কখনও সামান্য রোজগারের আশায় তাঁরা সংগ্রহ করেন এই ঘাস। বাড়িতে এসে তৈরি করেন বিশেষ ঝাড়ু। যা নিজের সারা বছরের ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করেন বাজারে। তার থেকে উপার্জিত সামান্য রোজগারে চলে সংসারের খরচ।
advertisement

তাই বাস্তবে দুর্গারাও নিজের জীবনের ভয়কে জয় করে, এগিয়ে চলেছে রোজগারের পথে। প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী মহিলারা মূলত এই বর্ষার সময়ে লম্বা লম্বা ঘাস সংগ্রহ করেন। বিশেষ এই ঘাস ব্যবহার করা হয় ঝাঁটা তৈরিতে। যা নিজের বাড়ির পাশাপাশি তাঁরা ব্যবহার করেন বিক্রির জন্য। বর্ষাকালে মূলত পুকুরের পাড়ে, খালের ধারে কিংবা ধান চাষের মাঠে লম্বা লম্বা সবুজ ঘাস থাকে। এই বিশেষ ঘাস বেশ শক্ত ধরনের। যা ব্যবহার করা হয় এই ঝাড়ু প্রস্তুতিতে। দুর্গাপুজোর আগে এবং বর্ষার পরে পরেই এই ঘাস সংগ্রহ করেন প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা।

advertisement

আরও পড়ুন : শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, অভিভাবকরাও এবার বই পড়বেন সরকারি স্কুলে! কোথায় পাওয়া যাবে এই সুযোগ 

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় কেশিয়াড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী মহিলারা বিশেষ এই ঘাস সংগ্রহ করেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। এরপর সংগ্রহ করা সেই ঘাস তারা রোদে শুকিয়ে, সেগুলি বেঁধে তৈরি করেন ঝাড়ু। যে ঝাড়ু সারা বছর নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করেন বাজারে। দাম রয়েছে প্রতি পিস পঞ্চাশ টাকা। স্বাভাবিকভাবে রোদ-ঝড়, এমনকি সাপ বা অন্যান্য পোকামাকড়ের ভয়কে উপেক্ষা করে তারা বাড়ি থেকে বেশ দূরে গিয়ে এই ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ভৈরব নদীতে ১৩ প্রতিযোগীর জমজমাট বাইচ প্রতিযোগিতা! আলমারি, প্রেসার কুকার পেলেন জয়ীরা
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, ঘাসের ঝোপে ঢুকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ও পদ্ধতিতে এই ঘাস সংগ্রহ করেন তাঁরা। মূলত প্রতিবছর বর্ষার পর এটি বেশ কয়েকজনের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে। এখান থেকে উপার্জিত সামান্য আয়ে তাদের চলে সংসার। স্বাভাবিকভাবে মৃন্ময়ী প্রতিমা নয়, রক্তমাংসে গড়া এই দুর্গারাও সমাজে দৃষ্টান্ত। জীবন ভয়কে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছে বাস্তবের পথে। তাদের এই বিকল্প ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সাপ-জোঁককে সঙ্গী করেই রোজগারের পথে, ঘাস কেটে সংসার চালাচ্ছেন বাস্তবের দুর্গারা! জানেন কোথায় হচ্ছে এমন কাহিনী?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল