তাই বাস্তবে দুর্গারাও নিজের জীবনের ভয়কে জয় করে, এগিয়ে চলেছে রোজগারের পথে। প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী মহিলারা মূলত এই বর্ষার সময়ে লম্বা লম্বা ঘাস সংগ্রহ করেন। বিশেষ এই ঘাস ব্যবহার করা হয় ঝাঁটা তৈরিতে। যা নিজের বাড়ির পাশাপাশি তাঁরা ব্যবহার করেন বিক্রির জন্য। বর্ষাকালে মূলত পুকুরের পাড়ে, খালের ধারে কিংবা ধান চাষের মাঠে লম্বা লম্বা সবুজ ঘাস থাকে। এই বিশেষ ঘাস বেশ শক্ত ধরনের। যা ব্যবহার করা হয় এই ঝাড়ু প্রস্তুতিতে। দুর্গাপুজোর আগে এবং বর্ষার পরে পরেই এই ঘাস সংগ্রহ করেন প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, অভিভাবকরাও এবার বই পড়বেন সরকারি স্কুলে! কোথায় পাওয়া যাবে এই সুযোগ
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় কেশিয়াড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী মহিলারা বিশেষ এই ঘাস সংগ্রহ করেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। এরপর সংগ্রহ করা সেই ঘাস তারা রোদে শুকিয়ে, সেগুলি বেঁধে তৈরি করেন ঝাড়ু। যে ঝাড়ু সারা বছর নিজেদের ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করেন বাজারে। দাম রয়েছে প্রতি পিস পঞ্চাশ টাকা। স্বাভাবিকভাবে রোদ-ঝড়, এমনকি সাপ বা অন্যান্য পোকামাকড়ের ভয়কে উপেক্ষা করে তারা বাড়ি থেকে বেশ দূরে গিয়ে এই ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, ঘাসের ঝোপে ঢুকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ও পদ্ধতিতে এই ঘাস সংগ্রহ করেন তাঁরা। মূলত প্রতিবছর বর্ষার পর এটি বেশ কয়েকজনের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে। এখান থেকে উপার্জিত সামান্য আয়ে তাদের চলে সংসার। স্বাভাবিকভাবে মৃন্ময়ী প্রতিমা নয়, রক্তমাংসে গড়া এই দুর্গারাও সমাজে দৃষ্টান্ত। জীবন ভয়কে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছে বাস্তবের পথে। তাদের এই বিকল্প ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।