দিনভর মাঠে কাজ শেষ করে সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় ঢোল, মাদল আর করতালের তালে নাচের উৎসব। পুরুষ ও মহিলা, তরুণ ও বৃদ্ধ – সবাই মিলে একসঙ্গে অংশ নেন এই আনন্দে। এই নাচ তাঁদের কাছে শুধু বিনোদন নয়, বরং সমাজের ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে জামবনির আদিবাসী পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রতি পরিবারে ১,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা পেয়ে গ্রামের মানুষরা খুশিতে উদ্বেল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দেশীয় প্রযুক্তিতে আলু চাষে নতুন দিগন্ত! কম সময় ও খরচে দ্বিগুণ ফলন, ১ মেশিনে চাষিদের ৩ মুশকিল আসান
স্থানীয় এক কৃষকের কথায়, তারা চাষ করে সংসার চালান। সরকারের এই সাহায্য তাদের জন্য খুব উপকারি। এতে বীজ, সার বা চাষের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় সুবিধা হবে। তাদের বক্তব্য, “আমরা পরব নাচ করি, এই নাচ আমাদের ঐতিহ্য। সরকার যদি এই নাচের আয়োজনেও কিছু সাহায্য করে, তাহলে আমরা আরও উৎসাহ পাব।”
এই সহায়তা কর্মসূচির ফলে গ্রামের মানুষদের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের মতে, এই ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ তাঁদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে। এক সময় পরব নাচ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু এখন আবার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সেই আগ্রহ ফিরছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও গ্রামের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই সংস্কৃতি আজও টিকে আছে। রাজ্য সরকার গ্রামীণ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়ন এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে। জামবনির মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেই প্রকল্পের সুফল পৌঁছে যাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জামবনি গ্রাম এক নবজাগরণের পথে। কৃষি নির্ভর জীবন ও ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন যেন এক নতুন উদাহরণ তৈরি করেছে। পরিশ্রম, ঐক্য ও সংস্কৃতির শক্তিতে এগিয়ে চলেছে এই আদিবাসী অধ্যুষিত জনপদ। গ্রামের মানুষদের কণ্ঠে একটাই বার্তা – “সরকার পাশে থাকলে, আমরা নিজের শক্তিতে এগিয়ে যেতে পারব।”





