প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আজ সফল সঙ্গীতশিল্পী তিনি। স্বপ্ন দেখেছিলেন বড় শিল্পী হওয়ার। কলকাতা কিংবা শহরের শিল্পী নাকি শুধুমাত্র সম্মান পায়, ছোট থেকেই এই সন্দেহ মাথায় জমে ছিল। এরপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবার লড়াই শুরু হয়। যেমন তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতে গলা, তেমনই নজরুল গীতিতে অসাধারণ দক্ষতা তাঁর। এমনকী বিভিন্ন সিনেমার গান জবার গলায় শুনলে মুগ্ধ হয়ে শুনতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মেঘ-কুয়াশায় ঢাকা এই জেলাগুলি, রোদ উঠলেই হাড় কাঁপাবে ঠান্ডার দাপট! রইল আবহাওয়ার আপডেট
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বেজদা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে জবা হেমব্রম। ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালবাসা তাঁর। সিনেমায় কিংবা পাড়ার অনুষ্ঠানে গান শুনে মনে রাখতেন জবা। সেখান থেকেই গুনগুন করে গান মুখস্থ করা। নিজে থেকেই গাইতেন ছোটবেলায় সে অর্থে কোনও তালিম পাননি। দাঁতন এর প্রত্যন্ত অজ পাড়া গাঁ থেকে উঠে এসে আজ সফল সঙ্গীতশিল্পী দাঁতনের জবা। ছোট থেকেই নানা সাঁওতালি অনুষ্ঠান কিংবা পাড়ার কোনও অনুষ্ঠানে গান শুনে গুনগুন করে গাইতেন। পরে বাড়ির পাশে এক সংগীত শিল্পীর কাছেগানের তালিম নেয় সে। পরে গানের শিক্ষাদাঁতনের এক শিক্ষাগুরুর থেকে।
আরও পড়ুন: ভারতে সবচেয়ে বেশি কী কারণে খুন হয় জানেন? দিনে কটা? কেন্দ্রের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাঁওতালি কিংবা বাংলা ভাষায় গান গাইতেন জবা। এরপরই ধীরে ধীরে পড়াশোনা এবং গানকে সঙ্গী করে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে তাঁর তেমন বন্ধু ছিল না। বন্ধু বলতে তাঁর ছিল গান। পড়ার সময় হোক কিংবা অন্যান্য সময় নিজের মতোই গুনগুন করে গান গান তিনি। জবা চান বড় হয়ে আরও বড় সঙ্গীত শিল্পী হতে। চান প্লে ব্যাক সিঙ্গারও হতে। পাশাপাশি তাঁর ইচ্ছে, সাঁওতালি জনগোষ্ঠীর যাঁরা নানান শিল্পে সমৃদ্ধ তাঁদের যথেষ্ট সম্মান দিক সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েক বছর আগেও গ্রামীন এলাকায় সে অর্থে গান-বাজনার চর্চা ছিল না। কিন্তু নিজের ইচ্ছেতেই আজ সফল সঙ্গীতশিল্পী জবা। জবার বাবা ঈশ্বর হেমব্রম স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। তিনিও চান সংগীত শিল্পী হয়ে উঠুক তাঁর মেয়ে। বড় সঙ্গীতশিল্পী হয়ে সমাজ ও এলাকার নাম উজ্জ্বল করুক প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই মেয়ে, আশা সকলের।
রঞ্জন চন্দ
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F