দ্বাদশী তিথিতে মেলা শেষ হয়। আশা কাঁথি, ভাঙ্গাবাঁধ, খামার, ভেলাইডিয়া, ছোটসুখজোড়া, দিয়াসী, মুনিয়াদা, সাহাড়ি, এবং শিশিলদার মধ্যে ছোটবড় ৩৬টি মন্দির রয়েছে। এদের সবথেকে জনপ্রিয় এবং প্রাচীন মন্দির হল ওড়গোন্দার ভৈরব মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দা বিমল মুর্মু বলেন, একাদশী ও দ্বাদশীর ওড়গোন্দার বাবা ভৈরব মন্দিরে আন্তর্জাতিক মেলা হয়। নেপাল, বাংলাদেশ থেকেও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর লোকেরা যোগ দেন এখানে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবুও মাথায় হাত! পান চাষ করে কেন সমস্যায় চাষিরা?
শোকাবহ সেই ‘দাঁসায়’ পরবের শেষে দশমীর দিন গ্রামে গ্রামে শোকসভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পরব। ওড়গোন্দার ভৈরব মন্দির হল সাঁওতালদের দেবতা মারাংবুরুর থান। একাদশীর দিন সেখানেই শুরু হয় দু’দিনের মিলন মেলা। তবে শেষ দিন, অর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে এলাকাটি কার্যত সাঁওতালদের জনসমুদ্রে পরিণত হয়। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে অনেকেরই হয় পাকা দেখা। পছন্দ হলেই মারাংবুরুকে সাক্ষী রেখে দুই পরিবারের পাকা কথাও এখানেই হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুঃখের দশমী শেষে বেলপাহাড়ির ওড়গোন্দা ভৈরব মন্দির লাগোয়া প্রান্তরে আয়োজিত আদিবাসীদের মিলন মেলায় এই রীতি চলে আসছে কয়েকশো বছর ধরে। শতাব্দী প্রাচীন এই মেলার আয়োজন হয় একাদশী তিথিতে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডী বলেন, এখানে ভিন্ন দেশ থেকে সাঁওতালরা এসে মিলিত হন। প্রত্যেকে তাঁদের সংস্কৃতি তুলে ধরেন।