শুধু মন্দির হিসেবে যে বিখ্যাত তা নয়, নদীর পাড়ে সুপ্রাচীন মন্দির এবং তার গঠনশৈলী ও ইতিহাস গোটা দেশের কাছে অনন্য নিদর্শন। একাধিক শিল্পরীতি এবং গঠনরীতির এই মন্দিরগুলো। বিভিন্ন মন্দিরে টেরাকোটার আদল থেকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা ফুটে উঠেছে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহর থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই অবস্থিত মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। ছোট্ট এই গ্রামে দেউল, রত্ন, দালান প্রায় সমস্ত রীতিরই মন্দির দেখা যায়। গ্রামে প্রবেশ করলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন একাধিক মন্দির, সংখ্যাটা প্রায় তিরিশেরও অধিক। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। তার পাশেই এক কালে গড়ে উঠেছে এত সংখ্যক মন্দির।
কোনও মন্দির টেরাকোটা শিল্প রীতিতে নির্মিত, কোনওটি পঞ্চরত্ন মন্দির, আবার কোনওটি দেউল রীতির আদলে নির্মিত। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন শিল্পরীতি ফুটে উঠেছে একাধিক মন্দিরে। চলাচলের রাস্তার দুপাশেই চোখে পড়বে এত সংখ্যক মন্দির।
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্ট, ২০২৫- কেমন যাবে আজকের প্রেমজীবন, জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
প্রসঙ্গত, এলাকার জমিদার হিসেবে পরিচিত ছিল মজুমদার পরিবার। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় একাধিক মন্দির গঠিত হয় বলেই জানা যায়। কংসাবতী নদীর পাড়েই এই গ্রামে রয়েছে ধর্মরাজ মন্দির, দক্ষিণমুখী এই মন্দিরটির টেরাকোটার আদলে নির্মিত হলেও বর্তমানে টেরাকোটার কোনও চিহ্ন নেই। পাশেই রয়েছে নবরত্ন মন্দির।
ত্রিখিলান বিশিষ্ট প্রায় ৫৫ ফুট উচ্চতার এই মন্দির। সঙ্গে রয়েছে নবরত্ন মন্দিরের সমতল ছাদ বিশিষ্ট চারটি মন্দির। পাশেই রয়েছে তুলসী মঞ্চ। রয়েছে দালান কোঠা, এছাড়াও রয়েছে আটচালা শিব মন্দির পঞ্চরত্ন মন্দির-সহ একাধিক মন্দির। রয়েছে ভগ্নপ্রায় দুর্গা দালানও। তবে বাঁকুড়া কিংবা বর্ধমান জেলা ছাড়িয়ে এত সংখ্যক মন্দিরের অবস্থান আপনাকে অবাক করবে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন মন্দিরের গঠনরীতি এবং এই মন্দিরগুলোর ইতিহাস ভাবিয়ে তুলবে সকলকে।