প্রায় আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে আসছে এই দেউলঘাটা মন্দির। আদতে জৈন মন্দির হলেও এখানে জৈন , বৌদ্ধ ও হিন্দুদের নিদর্শন বিদ্যমান। ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরের পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেসৌন্দর্য হারাচ্ছে পুরুলিয়ার প্রাচীন ঐতিহ্য দেউল ঘাটা।
আরও পড়ুন: হাতে একদিন ছুটি থাকলেই হবে! ঘুরে যান ইতিহাসের গন্ধ মাখা এই অপূর্ব জায়গায়, রইল সব তথ্য
advertisement
এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা বলেন , জঙ্গলমহলের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এই দেউল ঘাটা। প্রাচীন কাল থেকে এই জায়গায়কে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবেই সবাই জেনে এসেছে। কিন্তুু দুঃখের বিষয় দেউল ঘাটার উন্নয়নের ব্যাপারে আজপর্যন্ত প্রশাসনসেভাবে দৃষ্টি দেয়নি। অথচ আমরা দেখছি ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষএই দেউল ঘাটা মন্দির দেখার জন্য আসেন।
জঞ্জালে ভরা রাস্তা ঘাট , নেই লাইট , সংস্কার করা হয় না মন্দিরের , না আছে অন্যান্য ব্যবস্থা। তাই বহু মানুষ দেউলঘাটা বেড়াতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে স্থানীয়রা দাবি করেন,অতিসত্বর এর সংস্কার করা হোক ও সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করা হোক। দেউল ঘাটার সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি হলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফলে যারা এই মন্দিরের উপর নির্ভর করে রুটি-রুজির যোগান করছে তাদেরও কিছুটা আর্থিক উন্নতি হবে।
দেউলঘাটায় প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় হয়ে থাকে। অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে আসা বহু পর্যটক এই মন্দিরে অন্তত একবার ঢুঁ মেরে যান। অনেক সময় এখানে সিনেমার শুটিংও হয়। তবে আগামী দিনে এই মন্দিরের পরিকাঠামোর উন্নতি হলে যেমন পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে , তেমনইএলাকার মানুষদের কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি