স্থানীয় সূত্রে খবর , এই দিন রাতে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লোকাল ট্রেন। ডাউন লাইনে কাটোয়া ব্যান্ডেল লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে, জিরাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে কাটোয়া হাওড়া লোকাল। তার আগের ট্রেন কাটোয়া হাওড়া লোকাল খামারগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। বাঁশবেড়িয়া এলাকায় রয়েছে তিনটি কারখানা । কুন্তীঘাটে রয়েছে কেশোরাম রেওন কারখানা, বাঁশবেড়িয়া রয়েছে প্লাস্টিক কারখানা ও ত্রিবেণীতে রয়েছে আইটিসি কারখানা।ফলে নাইট শিফটে কাজে যোগদানকারী শ্রমিকরা, তারা ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়েছেন। সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে তাদের ।অফিস টাইমে ট্রেন চলাচলের সমস্যা হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে বহু ট্রেন যাত্রীকে।
advertisement
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই রেলের কর্মীরা দ্রুত মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্টেশনে মাইকিং প্রচার করে ঘোষণা করা হয় বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে ওভারেটে তার ছিড়ে যাওয়ার কারণে ডাউন লাইনে ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে । যদিও আপ লাইনের ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রেন যাত্রী উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান, কাটোয়া হাওড়া লোকাল ধরে বৈদ্যবাটি যাচ্ছিলাম হঠাৎই জিরাট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে পরে রেল পক্ষ থেকে মাইকিং প্রচার করে জানানো হয় বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে ওভার হেডের তার ছিড়ে যাওয়ার ফলে ট্রেন ছাড়তে দেরি হবে । গরমের মধ্যে চরম সমস্যাতে পড়তে হয়েছে। বিকল্প কোন রাস্তা না হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে। অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের মধ্যে অপেক্ষা করছে।
রাহী হালদার