আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় চাইলেই মিলছে জন্মের শংসাপত্র, কীভাবে? জানলে চমকে যাবেন
এক সময় গ্রামে দেখা মিলত বিনোদনের প্রধান আসর পুতুল নাচ। কিন্তু দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এককালের বিনোদনের প্রধান অনুষঙ্গ পুতুল নাচ। সংস্কৃতির প্রভাব, হাতের মুঠোয় বিনোদনের সহজলভ্যতা, অশ্লীল নৃত্য আর জুয়ার আবর্তে পড়ে বাঙালির লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য এই পুতুল নাচ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। একই কারণে উঠে যাচ্ছে সার্কাস-নাটকও। গ্রামের মেলাগুলিতেও এখন তেমন ভিড় জমছে না। শীতের সময় কিংবা অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামবাংলায় পুতুল নাচের আসরে গ্রামের আট থেকে আশি মেতে উঠতেন পুতুল নাচে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাদে দাঁড়িয়ে পেত্নি! চিল চিৎকার দিয়ে ছুটছে মানুষ! এসব কী হচ্ছে কল্যানগড়ে? জানুন
কিন্তু স্মার্টফোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে পুতুল নাচ এখন আর প্রায় দেখা পাওয়া যায় না বললেও ভুল হবে না। তবে ঐতিহ্যের এই পুতুল নাচ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনও সুন্দরবন অঞ্চলের কিছু উদ্যোক্তারা আয়োজন করেন পুতুল নাচ।উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবন অঞ্চলের সন্দেশখালির দক্ষিণ নলকোড়ায় দেখা মিলল ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের।
পুতুল নাচ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য প্রদিপ্ত সরকার বলেন, “অনেকদিন পরে পুতুল নাচ দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। এভাবেই পুরানো ঐতিহ্য বেঁচে থাক। আরও বেশি পরিমাণে পুতুল নাচের দেখা মিলবে আশা করি।” গ্রাম বাংলায় এখন আর সন্ধ্যা নামলেই মেলা থেকে লাউড স্পিকারে আর ভেসে আসে না- ‘হৈ হৈ কান্ড, রৈ রৈ ব্যাপার। পুতুল নাচ দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে তেমন শিহরণ জাগেনা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবুও বাংলার কৃষ্টি-কালচার আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা এই শিল্পীদের।
জুলফিকার মোল্যা