TRENDING:

৬০০ বছর ধরে যত্নে রাখা এক সম্পত্তি! 'এই' বিশেষ জিনিসটি ছাড়া পুজো হয় না এথোড়া মুখার্জি বাড়িতে

Last Updated:

Traditional Durga Puja : এই বাড়ির পুজো হয় তালপাতার পুঁথিতে লেখা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে। ৬০০ বছর ধরে চলছে একই নিয়ম। পুজোর সময় সেই পুঁথি দেখতেই ভিড় জমান বহু মানুষ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আসানসোল, রিন্টু পাঁজা : আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে যদি ফিরে যাওয়া যায়, তাহলে দেখা যেত সেই সময় পুঁথি ব্যবহার করা হত। এই পুঁথিতে এক প্রকার হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি যেখানে মন্ত্র, ধর্মীয় গ্রন্থ সহ আরও অনেককিছু সংরক্ষিত থাকত। তবে আপনি কি জানেন, এখনও এই পুঁথির প্রচলন রয়েছে এই পুজোয়। শুনে লাগচে তো? কিন্তু এখনও এই বাড়ির পুজো হয় পুঁথিতে লেখা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে।
advertisement

তাল পাতার পুঁথি হচ্ছে তাল গাছের পাতা ব্যবহার করে লেখা এক ধরণের প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। এথোড়া বাড়িতে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন পুঁথি লাল সালুতে মুড়ে রাখা হয় সারা বছর। পুজোর সময় সেই পুঁথি বের করা হয়। পুঁথিতে লেখা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শুরু হয় পুজো। মুখার্জী বাড়ির সদস্য মদনমোহন মুখার্জী বলেন, আমাকে নিয়ে প্রায় আট পুরুষ হচ্ছে এই পুজো। প্রায় ৬০০ বছর প্রাচীন পুজো। এখানে পনেরো দিন আগেই শুরু হয়ে যায় পুজো। পূর্বে আমার দাদুরা জমিদার ছিলেন। তাঁরা এই শুরু করেছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন : রাজ্যে চালু হল নতুন কার্ড! বিনামূল্যে ওষুধ থেকে মিলবে বড় ছাড়, জানুন কারা পাবেন ‘এই’ সুবিধা

আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত এথোড়া গ্রাম। এই গ্রামটি অনেক প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। কারণ, এখানে রয়েছে প্রাচীন কয়েকটি বাড়ির পুজো। তার মধ্যে অন্যতম মুখার্জি বাড়ির পুজো। এই পুজো শুরু হয়েছিল প্রায় ৬০০ বছর আগে। তখন থেকেই কয়েক শতাব্দী প্রাচীন তাল পাতার পুঁথিতে লেখা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পুজো হয়। এখানে নবমী থেকে নবমী লগ্ন পর্যন্ত ১৫ দিন ধরে চলে পুজো। সাবেকিয়ানা এক চালার প্রতিমা তৈরি করা হয়। ডাকের সাজে সাজানো হয় মা দুর্গাকে। বংশ পরম্পরা ধরে শিল্পী এখানে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

অনেক জায়গায় দেখা যায় ট্রাক্টর লরিতে করে প্রতিমা বিসর্জন হয়। কিন্তু এখানে রীতি মেনে কাঁধে করেই প্রতিমা বিসর্জন করতে যান পরিবারের সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতা এখনও চলে আসছে এখানে। সপ্তমী থেকে দশমী, দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। সপ্তমীতে থাকে অন্ন ভোগ, ডাল, কুমড়ো তরকারি, পালং শাক, চাটনি, পরামান্ন। অষ্টমীতে ক্ষীর ও খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়। নবমীতে দিনে লুচি, মিষ্টি, সুজি এবং রাতে দেওয়া হয় পোলাও, সঙ্গে পনিরের তরকারি, মিষ্টি, পরামান্ন, চাটনি। দশমীতে লুচি, মিষ্টি, চিঁড়ে, খই ভোগ নিবেদন করা হয়। তাই থিমের পুজোর পাশাপাশি বনেদি বাড়ির এই পুজোতে ঘুরে আসতে পারেন আপনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
৬০০ বছর ধরে যত্নে রাখা এক সম্পত্তি! 'এই' বিশেষ জিনিসটি ছাড়া পুজো হয় না এথোড়া মুখার্জি বাড়িতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল