নেতাজির মা ভগবতী দেবীর উদ্যোগেই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দির প্রাঙ্গণে একদিকে দুর্গাদালান, অন্যদিকে প্রভাবতী দেবীর প্রতিষ্ঠা করা বিষ্ণু মন্দির রয়েছে, যেখানে নারায়ণ শিলা প্রতিদিন পূজিত হয়। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি ঘটা করে লক্ষ্মীপুজোও আয়োজন করা হয়। মহালয়ার পরের দিন থেকেই ঘট বসানোর মাধ্যমে শুরু হয় পূজার আচার। প্রথা মেনে নবমীর দিন আজও কুমড়ো বলির আয়োজন হয়। ইতিহাস বলছে, দেশে থাকলে এবং জেলে না থাকলে নেতাজি স্বয়ং এই পুজোতে হাজির থাকতেন। মায়ের সঙ্গে ঠাকুরদালানে বসে তিনি পুজোর অংশ নিতেন। শুধু তাই নয়, এই বাড়িতে এলে স্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। ফলে কোদালিয়ার এই ঠাকুরদালান হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অনন্য সাক্ষী।
advertisement
আরও পড়ুন : গড় জঙ্গলের গা ছমছমে ঘন বনে অশ্বত্থ শিকড়ের জালে প্রাচীন মন্দিরে দশভুজার আরাধনায় উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়
আগে মন্দিরেই প্রতিমা তৈরি হত। বর্তমানে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে হরিনাভির শিল্পী শুভেন্দু চক্রবর্তীর হাতে, যাঁদের পরিবার বংশপরম্পরায় এই প্রতিমা গড়ে আসছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহালয়ার মধ্যেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ঐতিহ্য, ভক্তি আর নেতাজির স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও সমান মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয় কোদালিয়ার বসু পরিবারের দুর্গাপুজো।