Traditional Durga Puja: গড় জঙ্গলের গা ছমছমে ঘন বনে অশ্বত্থ শিকড়ের জালে প্রাচীন মন্দিরে দশভুজার আরাধনায় উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়

Last Updated:

Traditional Durga Puja: আনুমানিক হাজার প্রাচীন পুজোর অবাক করা ইতিহাস জানতে হলে আসতে হবে গড় জঙ্গলের মেধস মুনির আশ্রমে।

+
গড়

গড় জঙ্গলের মেধসাশ্রম

দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: ঘন দুর্ভেদ্য গা ছমছমে জঙ্গলের মাঝেই বহু প্রাচীন এক মন্দির।আর এই মন্দিরের ইটের পাঁজর ভেদ করে একটি দৈত্যাকার অশ্বত্থ গাছ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে প্রাচীন ওই মন্দিরের কত না অজানা ইতিহাস।যা লুকিয়ে আছে ভগ্নপ্রায় মন্দিরের প্রতিটি ইটের খাঁজে।পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার গড় জঙ্গলে রয়েছে এমন বহু ইতিহাস।এই জঙ্গলের ইট, কাঠ, পাথরের পাঁজরে আজও শোনা যায়  ইতিহাসের গুঞ্জন। এই গড়জঙ্গলের একপ্রান্তে যেমন রয়েছে দেবী শ্যামরূপা মন্দির, অন্যপ্রান্তে রয়েছে ঐতিহাসিক মেধস মুনির আশ্রম। কথিত, রাজা সুরত এখানে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন।
তথ্য অনুযায়ী, রাজা সুরথ ছিলেন প্রাচীন বঙ্গ রাজ্যের চন্দ্রবংশীয় রাজা।একসময় তিনি তার রাজ্য এবং সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ছিলেন।এরপর  ভাগ্য ফেরাতে তার রাজধানী বলিপুর (বোলপুর) ত্যাগ করেন। পরে সমাধি বৈশ্যের সঙ্গে তার দেখা হয়। যিনি একজন বণিক ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে তিনিও দেউলিয়া ছিলেন। কারণ তাঁর পরিবার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। তারপর সৌভাগ্যক্রমে তাদের মেধস মুনির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি তাঁদের ভাগ্য ফিরে পাওয়ার জন্য দেবী দুর্গার পুজো  করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।রাজা সুরথ এবং সমাধি বৈশ্য পশ্চিমবঙ্গের গড় জঙ্গলে মেধস মুনির এই আশ্রমে প্রথম দুর্গোৎসব করেছিলেন।
advertisement
শ্যমরূপার পাশাপাশি দুর্গাপুজোয় মেধসাশ্রমের দুর্গা মন্দিরেও হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়।পশ্চিম বর্ধমান জেলার পুরাতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ প্রণব ভট্টাচার্য জানান, ওই এলাকায় সামন্ত যুগে বল্লাল সেন ও ইচ্ছাই ঘোষের নানা নিদর্শন মিলেছে।তবে মেধসাশ্রমের ওই দুর্গা মন্দিরটিকে গ্রাস করেছে প্রাচীন ওই দৈত্যাকার অশত্থ বৃক্ষটি। মেধসাশ্রম সূত্রে জানা যায়, ভগ্নদশায় থাকা সেই মন্দিরটি উই ঢিপিতে পরিণত হয়েছিল। বছর ২৫ আগে যোগীরাজ ব্রহ্মানন্দগিরি মহারাজ সেই প্রাচীন মন্দির সংস্কার করেন। শাল পিয়াল মহুয়ার ঘন জঙ্গলের মাঝে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই পুজোয় ভিড় জমায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে  গভীর জঙ্গলের মাঝে একেবারে অনন্য স্বাদের দুর্গাপুজো কাটাতে পারেন আপনিও।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : দুর্গাদালানের প্রাচীন খিলান ছুঁয়ে যায় ইছামতীর বাতাস, টাকির পুবের বাড়ির পুজো ঘিরে নস্টালজিয়া
কিন্তু কী ভাবে আসবেন এখানে জেনে নিন। কলকাতা থেকে পানাগড় হয়ে মোড়গ্রাম সড়ক ধরে পৌঁছে যান গড় জঙ্গলে। কলকাতা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার। রাস্তা গড় জঙ্গল। তবে রাত্রে সেখানে থাকার ব্যবস্থা নেই। গড় জঙ্গল থেকে দুর্গাপুর মাত্র ২৫ কিলোমিটার।পুজোয় ভক্তদের যাতায়াতের সুবিধার্থে জঙ্গলের ঢেউ খেলানো কাঁচা রাস্তায় এবার পেভার ব্লকের পাকা রাস্তা তৈরি হয়ে গিয়েছে।অষ্টমী এবং নবমীতে এখানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজো দেখতে ব্যপক জনসমাগম হয় গভীর গড় জঙ্গলে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja: গড় জঙ্গলের গা ছমছমে ঘন বনে অশ্বত্থ শিকড়ের জালে প্রাচীন মন্দিরে দশভুজার আরাধনায় উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল? রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে, দেখে নিন
  • উইকেন্ডে কি ফের হাওয়া বদল ?

  • রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া কেমন থাকবে

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement