TRENDING:

Traditional Durga Puja 2025: বিসর্জনে আজও ওড়ে শঙ্খচিল, সাবেক জমিদারবাড়ির পুজোর ভোগের বিশেষত্ব হল গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচির সঙ্গে নারকেলের মিষ্টি

Last Updated:

Traditional Durga Puja 2025:এই পরিবারে দেবী হরগৌরী রূপে পূজিতা হন। দাস বাড়ির পুজোর প্রচলন করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মাখনলাল দাস।কিন্তু সেই সময়ে ঘটে পুজো হত,মূর্তি পুজো হত না।পরবর্তী কালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি পুজো শুরু করেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বর্ধমান,সায়নী সরকার: অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে ও বিসর্জনের সময় আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল।একসময় বর্ধমানের এই জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে আসতেন খোদ বর্ধমানের মহারাজা আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা।কথিত আছে,জমিদার ব্রজেন্দ্রলাল দাসের ছিল না কোন পুত্রসন্তান। সেই চিন্তায় হতাশা হয়ে যাচ্ছিলেন বর্ধমানের দাপুটে জমিদার তথা বর্ধমান মহারাজা বিশিষ্ট বন্ধু ব্রজেন্দ্রলাল দাস। একদিন দেবীর স্বপ্নদেশ পেয়ে আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে শুরু করেন দেবী পুজো এরপরই পুত্রসন্তান লাভ করে তিনি।দেবীর স্বপ্নাদেশে পাওয়া বলে একমাত্র পুত্রের নাম রাখেন দুর্গাচরণ দাস।
advertisement

এই পরিবারে দেবী হরগৌরী রূপে পূজিতা হন। দাস বাড়ির পুজোর প্রচলন করেছিলেন তৎকালীন জমিদার মাখনলাল দাস।কিন্তু সেই সময়ে ঘটে পুজো হত,মূর্তি পুজো হত না।পরবর্তী কালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি পুজো শুরু করেন। ব্রজেন্দ্রলাল দাসের নাতি শিবশঙ্কর দাস জানান, দেবী স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো করার কথা বলেন। আর সেই বছর থেকেই মা দুর্গার মূর্তি পুজোর প্রচলন হয় এই জমিদার পরিবারে।

advertisement

স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তৈরি হয় মূর্তিও। একচালার কাঠামোয় বসে দেবী,তার ডান পাশে বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব। শিব-পার্বতীর দুপাশে লক্ষ্মী আর সরস্বতী, তাদের নীচে বসে কার্তিক আর গণেশ। দেবী এখানে মহিষাসুরমর্দিনী নয়, দাস পরিবারে হয় হরগৌরীর আরাধনা। আগে পুজোর জাঁকজমক আর জৌলুসও ছিল নজরকাড়া। ব্রজেন্দ্রলালবাবুর আমল থেকেই দাসবাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে পঞ্চমী থেকে। পঞ্চমীতে বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু পুজো। আগে পুজো উপলক্ষে দরদালানে নিয়ম করে বসত যাত্রাপালা, গানের আসর।

advertisement

দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া দোতলার ঘরের অন্দরমহল থেকে মহিলারা তা উপভোগ করতেন। দাসবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব বলতে কাঁঠালি কলা, নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি আর গাওয়া ঘি-এর লুচি। প্রত্যেকদিনই দেবীর কাছে এই ভোগ নিবেদন করা হয়। শিবশঙ্করবাবুর দাবি, অষ্টমীর দিন সন্ধিক্ষণে এখনও দুর্গামণ্ডপের উপর শঙ্খচিল উড়তে দেখা যায়। দশমীর দিন দেবীকে বিসর্জন করা হয়, তখনও আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : লালমাটির দেশে জাগ্রত এই সতীপীঠে দুর্গাপুজো পালিত হয় অনন্য অভিনব রীতিতে

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

তবে এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়লেও, আজও আচার আচরণ মেনে হরগৌরীর পুজো হয়ে চলেছে দাস বাড়িতে। বছরের অন্যান্য সময় অনেকে বাইরে থাকলেও পুজোর সময় সকলেই মিলিত হন পূর্ব বর্ধমানের এই দাস বাড়িতে। পুজোর জৌলুস কমলেও জমিদার আমলের প্রথা আর ঐতিহ্যে মেনে আজও পুজো হয় দাস পরিবারে।তাই এই সাবেক পুজো দেখতে এখনও জমিদার বাড়িতে ভিড় জমান বহু মানুষ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja 2025: বিসর্জনে আজও ওড়ে শঙ্খচিল, সাবেক জমিদারবাড়ির পুজোর ভোগের বিশেষত্ব হল গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচির সঙ্গে নারকেলের মিষ্টি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল