TRENDING:

৩৫০ বছর পুরনো! পটে আঁকা চিত্রে দশভূজার আরাধনা, পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস

Last Updated:

Traditional Durga Puja: রাজাদের রাজত্ব এখন আর নেই। তবে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো আজও রয়ে গিয়েছে। সেকালের প্রাচীন নিয়মকানুন মেনেই আজও পুজো হয়। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে রাজবাড়ির পুজো

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতিঃ পটাশপুরের পঁচেটগড় রাজবাড়ি আজও এক বিরল ঐতিহ্যের সাক্ষী। রাজপরিবারের শক্তি সাধনার অঙ্গ হিসেবে প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো এই দুর্গোৎসবের সূচনা। সময় বদলেছে, রাজত্ব শেষ হয়েছে, মূর্তিপুজো বন্ধ হয়ে পটে আঁকা প্রতিমার পুজো শুরু হয়েছে। এমনকি এককালের পশুবলি প্রথাও আজ অতীত। তবে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রাচীন নিয়মকানুন মেনেই ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টার ধ্বনিতে মুখরিত হয় রাজবাড়ির প্রাঙ্গণ। পুজো ঘিরে রাজবাড়ির দুর্গাদালানে এখন সাজো সাজেো রব।
advertisement

ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, প্রায় ৩৫০ বছর আগে পঁচেটগড় রাজবাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। যদিও সেই সময়কাল নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ওড়িশার কটক জেলার আটঘর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাড়ির আদিপুরুষ কালুমুরারী মোহন দাস মহাপাত্র। এই দুঃসাহসিক যুবক আকবরের রাজ কর্মচারী ছিলেন। ওড়িশার রাজা মুকুন্দদেব আকবরের সঙ্গে সঙ্গবদ্ধ হয়ে উভয়ের সাধারণ শত্রু গৌড়ের রাজা গৌড়েশ্বর সুলেমন কররানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হন। সেই যুদ্ধে কালুমুরারির অসামান্য কৃতিত্ব প্রকাশ পায়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ক্ষুদ্র-কুটির-হস্তশিল্পের মেলবন্ধন! ‘সোনার বাংলা’ তৈরি করছেন গৌরাঙ্গ কুইল্যা, না দেখলে বড় মিস

কথিত আছে, সেই সময় পটাশপুর পরগনায় এসে বাদশাহ প্রদত্ত নানকর ভূমি লাভ করে জমিদারি সূচনা করেন কালুমুরারী। প্রথমে কল্যাণপুরে থাকতেন। পরে পঁচেট গ্রামে খাঁড়ে বিশাল গড় নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় এক শিবলিঙ্গ। সেই শিবলিঙ্গকে কেন্দ্র করে কালুমুরারী মোহন দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। এখানে বেনারস থেকে আরও চারটি শিবলিঙ্গ এনে স্থাপন করা হয়। ধীরে ধীরে পঞ্চেশ্বর নামটির প্রচার হতে থাকে। সেই সময় রাজবাড়িতে শক্তি সাধনা হত। সেই শক্তি সাধনা করতে গিয়ে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

advertisement

রাজাদের রাজত্ব এখন আর নেই। তবে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো আজও রয়ে গিয়েছে। সেকালের প্রাচীন নিয়মকানুন মেনেই আজও পুজো হয়। প্রতিবছর ষষ্ঠীতে ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা ধ্বনি সহযোগে পঁচেটগড় রাজবাড়ির প্রাচীন পুকুর থেকে দুর্গাপুজোর ঘট স্থাপন করা হয়। মূলত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চলে রাজবাড়ির পুজো।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বাদামি শোষকের আক্রমণে নষ্ট ধান, রক্ষার উপায় বলে দিলেন কৃষি আধিকারিক
আরও দেখুন

সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে বাড়ির পুজোয়। রাজপরিবার শৈব থেকে বৈষ্ণব হয়েছে। একসময় অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় মূর্তিপুজো। তখন থেকেই রাজবাড়িতে শোলা ও পটে আঁকা দুর্গাপুজো শুরু। এখন অবশ্য শোলা বাদ পড়েছে। এখন পটে আঁকা দুর্গা। আগে বলি দেওয়া হলেও এখন সেই বলি প্রথা বন্ধ। বছরের অন্যান্য দিনগুলি রাজবাড়ির বর্তমান সদস্যরা বাইরে থাকলেও পুজোর কয়েকটা দিন তাঁরা বাড়িতেই ফিরে আসেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী এলাকাবাসীর ভিড়ে গমগম করে রাজবাড়ি চত্বর।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
৩৫০ বছর পুরনো! পটে আঁকা চিত্রে দশভূজার আরাধনা, পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল