পূর্বপুরুষ নরহরি পোদ্দার স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথমে ঘট পুজোর সূচনা করেছিলেন। পরে আবার স্বপ্নাদেশ পেয়ে ঘটপুজো রূপ নেয় মৃন্ময়ী দুর্গার পুজোয়। সীমান্তে কাঁটাতার টানা, সময় বদলের স্রোত—তবু প্রথা-আচার থেমে যায়নি। পুজোর ক’দিন হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মিলনের ছবি ধরা দেয় এই বাড়িতে।
advertisement
পুরনো রীতি মেনে এখনও চলে বলি প্রথা। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত আখ, চাল, কুমড়ো দিয়ে প্রতীকী বলি হয়। তবে নবমীর দিনে বিশেষভাবে একটি গোটা কুমড়োর ভেতর আলতা ভরে, ফল দিয়ে বানানো হয় মানবপ্রতিকৃতি। সেটিই বলি দেওয়ার পর সেই কুমড়ো থেকে নিঃসৃত আলতা সকলের কপালে তিলক হিসেবে পরিয়ে দেওয়া হয়— যা এক বিরল আচার। দশমীর বিসর্জনের দিনও সম্প্রীতির রঙ ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইছামতির ঘাটে সিঁদুরখেলা আর বিজয়ার প্রণাম এক অনন্য ছবি আঁকে। একসময় জোড়া নৌকায় দেবীকে নিয়ে নদীজুড়ে হত বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা। দুই বাংলার মানুষ ভিড় জমাত তা দেখতে। কিন্তু প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে ঝড়-বৃষ্টির দুর্ঘটনায় তা বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে সীমান্তের সেই বর্ণাঢ্য নদীযাত্রার ঐতিহ্য, যা একদিন ইছামতির দুই পাড়ে গড়ে তুলেছিল মিলনের সেতু।