তাই এবার কৃষ্ণনগরের জনপ্রিয় বারদোলের মেলা সেজে উঠেছে সাড়ম্বরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই মেলার প্রবর্তক। যদিও এই সম্পর্কে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। কারণ অনেকেই মনে করেন, অন্নদামঙ্গল কাব্যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামে অনেক তথ্য থাকলেও বারদোলের মেলা সম্পর্কে কোনও কথার উল্লেখ নেই৷
আরও পড়ুন -‘পুষ্পা’য় যা হয় বাস্তবে তা হল না, বন দফতর উদ্ধার করল লক্ষ লক্ষ টাকার ‘এই’ মূল্যবান কাঠ
advertisement
কারও কারও মতে দোল পূর্ণিমার ১২ দিন পরে এই মেলা শুরু হতো বলে এর নাম দেওয়া হয়েছিল বারদোলের মেলা। তবে জানা যায়, এই ধারণা সম্পূর্ণই ভ্রান্ত। আসলে কৃষ্ণচন্দ্র রাজার কুলবিগ্রহ বড়নারায়ন ব্যতীত আরও বারটি কৃষ্ণবিগ্রহ পূজিত হত। এই বারটি বিগ্রহের জন্যেই এই মেলার নাম রাখা হয় বারদোলের মেলা।
আরও পড়ুন - Hilsha Fish: পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, ওপার বাংলার ইলিশে এপার বাংলায় নববর্ষ পালন
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কুলবিগ্রহ বড়নারায়ন ছাড়াও অন্যান্য বিগ্রহ গুলি হল বলরাম, শ্রীগোপীমোহন, লক্ষীকান্ত, ছোটনারায়ন, ব্রহ্মন্যদেব, গড়েরগোপাল, অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ, নদিয়া- গোপাল, তেহট্টর কৃষ্ণরায়, কৃষ্ণচন্দ্র, শ্রী গোবিন্দ দেব, মদনগোপাল এই বিগ্রহ গুলি বিরহী, শান্তিপুর, সুত্রাগড়, নবদ্বীপ, অগ্রদ্বীপ, তেহট্ট, বহিরগাছি ইত্যাদি স্থানে প্রতিষ্ঠিত এবং নিত্য পূজিত।
তবে ইতিহাস যাই বলুক না কেন নদিয়ার আবেগময় এই বিখ্যাত বারদোলের মেলা দেখতে আসেন হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘ দুই বছর করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও পুনরায় মানুষ এই মেলার মাধ্যমে একসাথে মিলিত হয়ে আনন্দ করছেন৷
Mainak Debnath
