পূর্বস্থলীর চুপি চর মানে পরিযায়ী পাখিদের সমাহার। এশিয়া, ইউরোপ, কাস্পিয়ান সাগর, সাইবেরিয়া, তিব্বত প্রভৃতি দেশ থেকে এবারও প্রচুর পরিযায়ী পাখি এসেছে এখানে। তার মধ্যে রয়েছে পেরে গ্রিন ফ্যালকন, গাড়োয়াল, কূট। পরিযায়ী পাখিদের টানে চুপি কাষ্ঠশালী রাজারচর গ্রামগুলিতে বরাবরই ভিড় জমান পর্যটকেরা। পর্যটকদের জন্য আগে থেকেই সাজিয়ে তোলা হয় চুপি চর। মৌসুমি ফুলে সেজে ওঠে এলাকা থাকায় থাকা কটেজ থেকে শুরু করে পাখি দেখার ওয়াচ টাওয়ার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ব্য়বসা বন্ধের হুমকি দিয়ে দেবকে সাংসদ করা হয়েছে!' প্রজাপতি বিতর্কে বিস্ফোরক দিলীপ
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চুপিতেই ১০ হাজারেরও বেশি পাখি এসেছে। চলতি বছরে চুপিতে আসা ৮১ টি প্রজাতির পাখির মধ্যে ১৩টি প্রজাতির পাখিই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণির তালিকায়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাখি বেশি আসায় খুশি পর্যটকেরা। এমনিতেই এখানে সারা বছর থাকে, এমন ১৪৫টি প্রজাতির পাখি দেখা যায়। তাই সারা বছরই কমবেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে বড়দিন বছরের এবং বর্ষশেষের সময়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। এতে এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হন, তেমনই উপকৃত হন মাঝিরাও।
আরও পড়ুন: মিটল দূরত্ব? বড়দিনে তাপসকে কেক খাইয়ে দিলেন সুদীপ
জানা গিয়েছে, প্রশাসনের উদ্যোগে ছাড়ি গঙ্গায় প্রজাপতি পার্ক গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে চুপি এলাকার চুপি জলের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও যাতে পাখিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই এলাকায় যাতে উচ্চস্বরে মাইক না বাজানো হয়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।