শুশুনিয়া থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরত্বে, পখন্না গ্রামে রাজধানী স্থাপন করেন চন্দ্র বর্মন। কি লেখা রয়েছে সেই লিপিতে জানলে আপনি অবাক হবেন। ইতিহাস গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বিষ্ণুরূপাচক হচ্ছেন রাজা চন্দ্র বর্মন, যা ফুটে উঠেছে প্রথম পংক্তিতে। দ্বিতীয় পংক্তিতে রয়েছে বিষ্ণুর উপাসনার জন্য গ্রাম দান করা হয়েছে।” বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া পাহাড়। সমগ্র জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল শুশুনিয়া পাহাড়। শুশুনিয়া পাহাড়টি একটি ঐতিহাসিক মূল্যবান সমৃদ্ধি। এই গ্রামের পাশ দিয়েই পাহাড়ের কোলে একটি শিলালিপি রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রাচীনতম’ শিলালিপি হিসাবে বিবেচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: খুশি ছড়ানো দেওয়াল! কেউ টাঙ্গিয়ে যায় জামাকাপড়, কেউ নিয়ে নিজের মনে করে! মন ভাল করে দেওয়া উদ্যোগ
রাজা চন্দ্রবর্মণের শিলালিপি বলে পরিচিত এই শিলালিপি। শুশুনিয়া পাহাড়ের একটি দুর্গম স্থানে অবস্থিত এই শিলালিপি। প্রাচীন এই শিলালিপিতে রয়েছে দুটি অংশ। ‘চক্র’ বা চাকা এবং একটি লিপি। পাহাড়ের এই দুর্গম অংশ থেকে দেখতে পাওয়া যাবে দূর দূরান্ত পর্যন্ত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন জয় করবে প্রত্যেকের। তবে এই জায়গায় আসার আগে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে রাস্তা দিয়ে উপরে উঠবেন সেটাকে রাস্তা বলাই বাহুল্য। আদতে একটি পাথুরে বক্র রেখা। যদিও এই দুর্গম অঞ্চলেও ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। বলছেন কষ্ট করে উপরে আসা সার্থক হয়েছে। শিলালিপিটি প্রত্যক্ষ করার পর সব কষ্ট মুছে গেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে পর্যটনের কারণ ছাড়াও গবেষণার কারণে ভিড় জমান আগ্রহী মানুষরা। বাঁকুড়া জেলার ইতিহাসের পাতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই শুশুনিয়া পাহাড়। রাজা চন্দ্র বর্মনের শিলালিপি সেই ঐতিহাসিক গুরুত্বকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে! তাই দোনামনা না করে, চলে আসুন শুশুনিয়া পাহাড়ের এই ইতিহাস খুঁজতে। আশা করি হতাশ হবেন না।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী