জম্মু ও কাশ্মীরে মেঘ ভেঙে হড়পা বানের ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরেও অমরনাথ গুহা মন্দিরের কাছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থল অভিযানে সহায়তা করার পাশাপাশি, ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যের নিজস্ব হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ এবং আহত তীর্থযাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য, মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রায় আটটি IAF হেলিকপ্টার পরিষেবা প্রদান করছে।
advertisement
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির বাড়ি দখল করে স্যুইমিং পুলে সাঁতার কাটলেন শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা!
IAF-এর এক মুখপাত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, অমরনাথ মন্দিরে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য জন্য চারটি এমআই-১৭ভি৫ এবং চারটি চিতল হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, চিতল হেলিকপ্টারগুলি গুহা থেকে বেঁচে থাকা ৪৫ জনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেছে।
শনিবারই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ও তমলুক থেকে ৮ জনের ওই দল পৌঁছন৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, অমরনাথ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না পেশায় শিক্ষক তপন জানা, ব্যবসায়ী রমেশ সাঁতরা, সোমেশ সাঁতরা, দেবাশিস মাইতিরা। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে তাঁদেরই একজন জানিয়েছেন, "আমরা এখানে এসেই জানতে পারি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে অমরনাথ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ছে। আমরা একটি হোটেলে উঠেছি। সকলে এক সাথে রয়েছি। জানিনা আগামিদিনে কী হবে! আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি।"
মেঘ ভাঙার ঘটনার পরে যাত্রা ফের শুরু করার বিষয়ে এখনও অনিশ্চয়তা থাকলেও, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) আশ্বাস দিয়েছে যে শুক্রবার স্থগিত হওয়া অমরনাথ যাত্রা এক বা দুই দিনের মধ্যে আবার শুরু হতে পারে। এএনআইকে সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের শ্রীনগরে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চাপা পড়া মাটির মধ্যে থেকে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।