পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাটারফ্লাই পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি থাকবে। অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হবে সেগুলি। এই প্রজাপতিদের বেঁচে থাকা ও বংশ বৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে সেখানে। এর ফলে চুপি চরের আকর্ষণ আরও অনেকটা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ভ্রমণার্থীরা ছাড়ি গঙ্গায় নৌকো বিহার করে পরিযায়ী পাখি দেখার ফাঁকে নানা রঙের, নানা আকারের প্রজাপতি দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। প্রজাপতির টানে ছোটদের হাত ধরে আসবেন বড়রা। উপার্জন বাড়বে এলাকার বাসিন্দাদের।
advertisement
রাজ্য জীব বৈচিত্র পর্ষদের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার একাধিক জায়গায় বাটারফ্লাই পার্ক, বায়ো ইকো পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। খণ্ডঘোষের আমড়ালদীঘি এবং শক্তিগড়ের হাটগোবিন্দপুর কলেজের কাছে একটি দীঘিকে কেন্দ্র করে বায়ো-পার্ক তৈরির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : গঙ্গাসাগরে কাজ শুরু করল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, প্রথম যাত্রী চন্দ্রাবতী
জানুয়ারিতে আউশগ্রামের কয়রাপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়াদের নিয়ে ‘বায়ো-ট্যুর’ হবে। পরিবেশ সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করাই এর লক্ষ্য। এই ধরনের কর্মসূচি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পর্ষদের পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো-অর্ডিনেটর অরূপ মাঝি বলেন, " মন্তেশ্বরে গ্রামে ভেষজ বন তৈরি হবে। আগামী অর্থবর্ষে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম ২, গলসি ২ এবং আউশগ্রামে বায়ো-ইকো পার্ক তৈরির প্রস্তাব এসেছে ব্লক থেকে।"
আরও পড়ুন : ভাত, নুন আর দুধ হাত থেকে মাটিতে পড়লেই সংসারের ঘোর অমঙ্গল! জানুন এখনই
তিনি বলেন, " মানুষ দিনের পর দিন নানা উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। তাতে পশু পাখি গাছপালার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠছে। তাই পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে স্কুল স্তর থেকে সচেতনতা প্রচার-সহ বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।"