পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট বারুইপুর কাছারি বাজারের সামনে থেকে চুরি যায় টোটো। টোটোর মালিক অজিত বিশ্বাস বারুইপুর থানায় অভিযোগ করেন। এর পরেই বারুইপুর থানার আই সি সৌম্যজিৎ রায়ের নির্দেশে এস আই রনি সরকারের নেতৃত্বে টিম তদন্তে নামে।সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। এরপরেই হদিশ পায় পান্ডা চন্দনের।
পুলিশের বিশেষ টিম নিয়ে রেডি থাকে। হাওড়া স্টেশনে দুপুর ১ টায় ট্রেন ধরতে এলে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, চন্দন টোটো চুরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। কাছে রেখে দিত ব্যাটারি চার্জারও। এই চন্দনের সঙ্গেই রিসিভার রামপদর জেলে আলাপ হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- বলুন তো, পৃথিবীতে মানুষ আগে এসেছিল না কুকুর? ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি…
চন্দন চুরি করে টোটো পৌঁছে দিত রামপদের কাছে। রামপদ টোটো বিক্রি করতো ২৫ হাজার টাকায় টোটো বিক্রি হয়ে যেত। এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন তিনি জানান, গত ১৫ই আগস্ট এক টোটো চালক বারুইপুর এলাকায় থেকে তার টোটো চুরি হয়ে গিয়েছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই ঘটনা তদন্ত নেমে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রানাঘাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত চাকদা এলাকায় এই চুরি হয়ে যাওয়া টোটোগুলি বিক্রি হচ্ছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের একটি স্পেশাল টীম ঘটনাস্থলে যায় এবং টোটো চুরির গ্যাংয়ের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি একজন ক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। এই চোরেদের দল মূলত পূর্ব বর্ধমান থেকে এসে বারুইপুরে টোটো চুরির ঘটনা ঘটায়।