ফারাক্কা রেলওয়ে জিআরপি তদন্তকারী কেন্দ্রের আধিকারিকরা এবং জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর না মেলায় তাদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করেন জিআরপি তদন্তকারী কেন্দ্রের আধিকারিকেরা। উদ্ধার হয় ৫৭৬ টি কচ্ছপের খোলস। আর তার পরই ওই তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার রাত থেকেই তল্লাশি শুরু হয় জঙ্গিপুর কোর্ট স্টেশন-সহ ফরাক্কা স্টেশনেও। সেই তল্লাশি সময় কচ্ছপের খোলস উদ্ধার করা হয়। তবে এত খোলস কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত করবে রেল পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন : ১০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে বাংলার মাটিতে ফিরে পেলেন বিহারের রাগিয়া দেবী
এ প্রসঙ্গে জিআরপি-র সাব-ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখি কিছু লোক ঘোরাফেরা করছে৷ তার কাছে বেশ কয়েকটি ব্যাগ আছে I ব্যাগ পরীক্ষা করতেই প্রচুর কচ্ছপের খোলস উদ্ধার হয় l পরে জানা যায়, তিন জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে৷ তারা ট্রেনে করে এসেছে l মালদার কালিয়াচকের কাউকে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল, প্রাথমিক তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি।’’
আরও পড়ুন : কাঁচা বাদাম গান গাওয়ায় এক যুবককে তাড়া করে মারল এক ব্যক্তি ! দেখুন ভিডিও
মালদা জিআরপি থানার আইসি প্রশান্ত রায় জানান ‘‘ উত্তরপ্রদেশ থেকে এই কচ্ছপের খোলসগুলি মালদার কালিয়াচক হয়ে বাংলাদেশের পাচার করা হত বলে অনুমান।’’ জিআরপি সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম নাত্থু (৫৩), বহরইচী (৫১) এবং নান্নে (৩৪)। ধৃতদের সকলের বাড়ি উওরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়। কী কাজে কচ্ছপের খোলসগুলি ব্যবহার করা হত এবং এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত, তার অনুসন্ধান শুরু করেছে ফরাক্কা রেলওয়ে জিআরপি তদন্তকেন্দ্র।