আরও পড়ুন: পেগাসাস নিয়ে 'সমান্তরাল' তদন্ত চলছে? শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য...
সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অর্কের (West Bengal News) কলেজ আশুতোষ। প্রিয় বিষয় অংক। কিন্তু একাদশ-দ্বাদশে পড়ার সময় থেকে রাশিবিজ্ঞানই হয়ে ওঠে তার ধ্যানজ্ঞান। তখন থেকেই এমন একটা পেশায় আসতে চেয়েছেন যেখানে দেশের জন্য সরাসরি কিছু করার সুযোগ রয়েছে। অর্ক (Topper From Bengal) জানালেন, "আইএএস হওয়াও হয়তো যেত। কিন্তু রাশিবিজ্ঞান বিষয়টাকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে, এটার ওপর ভিত্তি করেই কিছু করতে চেয়েছিলাম। সেজন্যই আমার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়া। কারণ যে কোনও ক্ষেত্রে দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এই সার্ভিসের সঙ্গে যুক্তরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'জীবিত' শিনা বোরা? সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের! চাঞ্চল্য দেশজুড়ে...
অর্কর বাবা তারকনাথ মণ্ডল চিকিৎসক। মা কাকলিদেবী স্কুলশিক্ষিকা। এক দিদি কর্পোরেট ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। স্নাতকোত্তর পড়তে পড়তেই গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন সফল হননি অর্ক (Topper From Bengal)। কিন্তু এ বছর একেবারে দ্বিতীয় স্থানে (West Bengal News)। জানালেন, কোনও কোচিং সেন্টার নয়,নিজেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অধ্যাপকদের সাহায্য ছাড়াও এই পরীক্ষার পুরনো প্রশ্ন তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন:পুরী জগন্নাথ দর্শনে যেতে হলে আর Howrah-Sealdah নয়, এই স্টেশন থেকে পাবেন ট্রেন...
গত এক বছরের প্রস্তুতির এই সময়টায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। মনঃসংযোগের যাতে অভাব না ঘটে তার জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিলেন অর্ক। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম শুধু এই পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজেই ব্যবহার করতেন। শখ ফটোগ্রাফি। মাঝেমধ্যে কবিতাও লেখেন। এই সার্ভিসটি মূলত কেন্দ্রীয়। তবে ডেপুটেশনে অনেক সময় রাজ্যে কাজ করার সুযোগও রয়েছে। অর্ক জানালেন, "নিজের রাজ্যে এসে কাজ করার ইচ্ছা তো অবশ্যই রয়েছে। তবে আগে দেশকেই প্রাধান্য দেব।"
এ বছর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল সার্ভিসে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১১,ইন্ডিয়ান ইকনমিক সার্ভিসে ছিল ১৫ । ১১ জন সফল পরীক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন অর্ক।কিছুদিন আগে প্রকাশিত ইউপিএসসি - র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মেধাতালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন একঝাঁক বাঙালি ছেলেমেয়ে। রাজ্যের শিক্ষামহলের বক্তব্য, এদের দেখে আগামী দিনে আরও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই পরীক্ষা দেবেন এবং সফল হয়ে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করবেন।
অর্পণ মণ্ডল