গত ৯ নভেম্বর নন্দকুমারের ‘বহরমপুর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’-এর নির্বাচনে ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল বাম-বিজেপি জোট। ৬৩টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলকে পরাস্ত করে নজির গড়েছিল তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘নন্দকুমার মডেল’-এ লড়াইয়ের বার্তাও দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রবিবারের ফলের পর তৃণমূলের কটাক্ষ, সেই নন্দকুমার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে মহিষাদলে পুরোদস্তুর মুখ থুবড়ে পড়ল বাম-বিজেপি জোট মডেল।
advertisement
মহিষাদলের ভোটের ফল নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “রাম-বাম জোট যে অশুভ, তা মানুষকে বোঝাতে পেরেছি আমরা। এরা মানুষের জন্য কাজ করে না। নিজেদের স্বার্থে এই জোট গড়ে তৃণমূলকে উৎখাত করতে চায়। যে বামদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের সঙ্গেই বিজেপি জোট গড়েছে। কিন্তু অশুভ আঁতাতের এই ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টাকে আমরা রুখে দিতে পেরেছি।’’
রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বিজেপি ও সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সমস্ত বামের বন্ধু আজকে রামে পরিণত হয়েছে। এদের দলের নেতারা মহম্মদ সেলিম, সূর্য মিশ্র টিভিতে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন, আমরা বিজেপি-বিরোধী অথচ এঁদের নেতা-কর্মীরা বিজেপির পতাকা ধরে জয় শ্রীরাম করছে। এঁদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। ২০১১ সালের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছে। তাই গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠকে সভা করতে হবে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।