সাংসদের অবশ্য দাবি, কিছুদিন আগে হায়দ্রাবাদে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ সেখান থেকে ফেরার পরই পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ চিকিৎসকের পরামর্শে তিন জনেরই রক্ত পরীক্ষা করা হলে সাংসদের স্বামী এবং শিশুকন্যার ডেঙ্গি ধরা পড়ে৷ অপরূপাদেবীর স্বামী সাকির আলি রিষড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর৷
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির ছোবল থেকে বাঁচলেন না বেলেঘাটা আইডির কর্তা! লড়েছিলেন বিধানসভা ভোটেও
advertisement
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি প্রত্যেকদিনই আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে৷ ইতিমধ্যেই এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁয়েছে৷ প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃ্ত্যুর সংখ্যা৷ শুক্রবারই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার অনির্বাণ হাজরার৷
আরও পড়ুন: অনুব্রত নন, কোটি টাকার টিকিট কেটেছিলেন অন্য কেউ? লটারি রহস্যে নতুন মোড়
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরাও৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, দু' দিনের মধ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং সরকার তৎপরতা না দেখালে তিনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ করবেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, 'সরকার যে সংখ্যক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেখাচ্ছে আসল সংখ্যাটা তার থেকে ২৬২ গুন বেশি৷'
যদিও রাজ্যের পুরমন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, সাধারণ মানুষ সতর্ক না হলে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়৷ একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কেরল, উত্তর প্রদেশের মতো বাম, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও এ বছর ডেঙ্গির প্রকোপ যথেষ্ট বেশি৷