আরও পড়ুন : অর্পিতার কান্নায় কটাক্ষ কুণালের! 'ষড়যন্ত্র আবার কী!' পার্থর দাবি ফুৎকারে ওড়ালেন সৌগত!
কেন এই পদক্ষেপ করলেন বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনি ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, দেখতে গিয়ে তাঁকে যে ঘটনার সামনে পড়তে হয়েছে, তাতেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তিনি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, 'গতকাল কিছু মানুষ আমাকে এসে জানান, মাতাল লোকগুলো মদ খেয়ে রোজ ঝগড়া, মারামারি, অকথ্য গালি-গালাজ করে। মেয়েদের টোন কাটে। অনেককে অনেক বলার পরেও কিছুতে ঠেক বন্ধ হচ্ছে না। আপনি কিছু একটু করুন। তাই গতকাল আমাকে যেতে হয়েছিল ওই ঠেকে। তখন ঠেক সঞ্চালক এক মহিলা, বাপরে! কী তার গলার তেজ! চেঁচিয়ে পুরো বাজারের লোক জমা করে ফেলেছিল। যেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে! বলে সে, মনে আছে ভোটের সময় আমার দরজায় হাত জোর করে দাড়িয়ে ছিলেন! আবার আসবেন না ভোট চাইতে? তখন মজা বোঝাবো! বলি তাকে, "মহোদয়া আপনি আমাকে ভোট দিয়েছিলেন কী দেননি সেটা কে জানে! যদি দিয়ে থাকেন আর দেবেন না"!
advertisement
এই পরিস্থিতিতে কী উত্তর দিয়েছিলেন বিধায়ক, সেটিও তিনি বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, 'বলি তাকে, আপনি লোককে বিষ খাওবেন আর আমি তা বসে বসে দেখবো, সেটা হবে না। সংগ্রামপুর, বর্ধমান, হাওড়ার মতো এখানেও মানুষ মরুক সেটা হতে দেওয়া যাবে না। অঞ্চলের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে আমাকে যতো কঠোর হতে হয় আমি হব। কাল থেকে যেন আর এখানে মদ বিক্রি না করা হয়। বিশাল বাড়ির মালকিন , কয়েকটি দোকান ভাড়া দেওয়া আছে। তবু বলে সে, আমাকে একটি কাজ দিন তাহলে আর মদ বেচবো না। বলি তাকে, চলো এখনি তোমাকে কাজ দেবো। আমার জিরাটের অফিসটা ঝাট দেবে মুছবে ছয় হাজার দেবো প্রতি মাসে। এবার সে আর রাজি নয়। মদের দোকানে যেখানে দিনের দু তিন হাজার সহজ কামাই, সে খাটতে যাবে কেন! বাড়ির সামনে রথ সড়ক বাজার, চাইলে সে সেখানেই একটা সবজি দোকান করতে পারে। হাজার লোক সেভাবেই রোজগার করছে আর ভালো ভাবে আছে।তিনি সেটা করতে পারবেন না। সন্মানে বাধে। অথচ মদ বিক্রি করবেন। বলেছেন তিনি, কত জন এল গেল, কেউ পারেনি বন্ধ করতে ! মদের দোকান তার চলছে চলবে। দেখা যাক কী ভাবে চলে! কারা তাকে সাহস আর সমর্থন দেয়।"
Abir Ghosal