মনোরঞ্জন বাবু অবশ্য বলেছেন, গাছ কাটার বিরুদ্ধে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁর বক্তব্য, "মৌমাছির চাকে ঢিল মেরে দিয়েছি। আর আমার পিছনে ফেরবার উপায় নেই। ফিরতে বা কে চায়! আমি মাননীয় দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত। উনি আমার উপরে আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা রেখেছেন। সেই বিশ্বাস অটুট রাখতে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে আমি আমরণ লড়বো। সে তিনি যত প্রভাবশালী হোন, আমার কিছু আসে যায় না। তাতে যদি এ তুচ্ছ প্রাণ যায় তো যাক। যতক্ষণ দিদির আশীর্বাদী হাত আমার মাথার উপরে থাকবে, আমি থামবো না।"
advertisement
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই চালু কাজ, দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি করা হল মনোরঞ্জন ব্যাপারীকেই
যদিও তাঁর এই কাজ অনেকের পছন্দ নয় বলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, " কয়েকদিনের কার্যক্রম নিয়ে আমি যা ভেবেছিলাম, যা অনেকেই ভাবছিলেন ইতিমধ্যেই সেটা হয়েছে। আমার জিরাটস্থিত বিধায়ক কার্যালয়ে জনগণকে পরিষেবা প্রদান করার সময়ে চার পাঁচজন মদ্যপ কার্যালয়ে এসে হামলা করেছিল। যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন জনে জনে ফোন করে আমার খবর জানতে চাইছেন তাঁদের জানাই চিন্তার কারণ নেই, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। দু'জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করতে পেরেছে, বাকিদের খোঁজ চলছে।"
আরও পড়ুন: 'নিজেদের লড়াই নিজেদের করতে হবে' কোন লড়াইয়ের কথা বললেন সাংসদ অভিনেতা দেব?
কিন্তু সবুজ দ্বীপের মতো একটf জায়গায় গাছ কাটছে কে? বিধায়ক জানিয়েছেন, "আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন পক্ষী বিশারদ ও বৃক্ষ বিজ্ঞানীদের কাছে। দয়া করে জানান, আমি গভীর অরণ্য দন্ডকারণ্যের মানুষ। ওখানে কিন্তু কোনও গাছ এভাবে মরতে দেখিনি। তাই আমার জানা নেই। তাই জানবার ইচ্ছে। পানকৌড়ি বা এই রকম কোনও পাখির মলত্যাগ জনিত কারণে আকাশ ছোঁয়া শত শত বৃক্ষ মারা যেতে পারে কি না? একজন দাবি করছেন, সবুজ দ্বীপের সব গাছ নাকি এই কারণে মারা গিয়েছে।সত্যি নাকি?"
বন দফতর অবশ্য বলছে সবুজ দ্বীপ তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে গাছ কাটার বিষয়ে তারা কিছু জানে না। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গাছ কাটা নিয়ে তারা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে।