ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে৷ সেই ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ছিল তৃণমূলের দখলে৷ পাঁচটি ছিল কংগ্রেসের দখলে৷ দু'টি ওয়ার্ড নির্দল কাউন্সিলরদের হাতে ছিল৷
আরও পড়ুন: উত্তাল বিধানসভা! বড় দাবি নিয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্ব বিজেপির বিক্ষোভ
এ দিনের আস্থা ভোটে পাঁচ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দু' জন নির্দল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলরও আস্থা ভোটে অংশ নেননি৷ ফলে ভোটাভুটিতে সাতটি ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস৷ দুই নির্দল কাউন্সিলরই কংগ্রেসকে সমর্থন করেন৷
advertisement
গত ১৩ অক্টোবর ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধী কাউন্সিলররা৷ সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে৷ সেই মামলার শুনানির পর আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: 'পাগলে কী না বলে!' মদনের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ফিরহাদ, পাল্টা জবাব কামরাহাটির বিধায়কের
পুরভোটের পর থেকেই শিরোণামে উঠে এসেছিল ঝালদা পুরসভা৷ খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু৷ এর পর উপনির্বাচনে ওই ওয়ার্ড থেকেই জয়ী হন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু৷ কিন্তু নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল৷ যদিও পুজোর পরই অনুন্নয়েনর অভিযোগে তৃণমূলের দিক থেকে সমর্থন তুলে নেন ওই নির্দল কাউন্সিলর৷ এর পরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়৷
শেষ পুরভোটে গোটা রাজ্যে একমাত্র তাহেরপুর পুরসভা দখল করতে পেরেছিল বামেরা৷ এর পরে দ্বিতীয় কোনও পুরসভা বিরোধীদের দখলে গেল৷