এলাকার তৃণমূল সংগঠনের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন সইফুদ্দিন৷ যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বলেও দাবি তৃণমূল সূত্রের। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেন। মৃতের বাবা ইলিয়াস লস্কর অবশ্য আঙুল তুলেছেন সিপিএমের দিকে।
এদিকে, সইফুদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়৷ পর পর কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ কার্যত দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা গ্রাম। বাড়ি ঘর, গাছপালা দোকান সব পুড়ে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। মজুত রাখা ধান ও ধানের গোলা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িগুলি থেকে আসবাব বার করে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: কালীপুজো-ভাইফোঁটায় বৃষ্টি? সাগরে নিম্নচাপের কালো মেঘ, ভাসবে কোন কোন জেলা?
আরও পড়ুন: শ্রীরামকৃষ্ণ যেতেন নিয়মিত, একসময় হত নরবলিও! জানেন এই কালীবাড়ির গা ছমছম করা ইতিহাস
পুলিশ গ্রামে পৌঁছলেও রাস্তাঘাট খারাপ থাকায় এখনও পর্যন্ত সেখানে পৌঁছতে পারেনি দমকল৷ স্থানীয় মহিলারাই পুকুর, কুয়ো থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, গুলির ঘটনায় যে ব্যক্তি যুক্ত, তাঁকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি পুলিশের।