দলের নেতার এ হেন বক্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল৷ অন্য দিকে বিজেপি নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচতেই এমন মন্তব্য করেছেন বিভাষ অধিকারী নামে ওই নেতা৷ কারণ তিনি টেট দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ৷ ইডি-র নজরেও রয়েছেন নলহাটির এই তৃণমূল নেতা৷ নলহাটিতে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজও রয়েছে বিভাষ অধিকারী নামে ওই নেতার৷
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধল সিপিএম-বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর জেলায় নয়া মডেল
রবিবার বিকেলে নলহাটির নগোরা মোড়ে নলহাটি ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে আসেন বিভাষ অধিকারী৷ সেখানেই ওই তৃণমূল নেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'আগেও বলেছি, আবারও বলছি৷ সেন্ট্রালের সাহায্য ছাডা় একটা রাজ্য চলে না৷ এত টাকা দেওয়া সম্ভব হয় না৷ ওই বামফ্রন্টের যেমন কূটবুদ্ধি, এখানে কুস্তি করো আর দিল্লিতে গিয়ে মস্তি করো৷ এই জ্ঞান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া উচিত ছিল৷ মানুষের স্বার্থে, রাজ্যের স্বার্থে, মানুষের মঙ্গলের স্বার্থে এই জ্ঞান নেওয়া উচিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এটা যদি আমি মিথ্যে বলি, মিলিয়ে নেবেন, সময় আছে৷'
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে বীরভূমের ‘বাঘ’ বলেছিলেন ফিরহাদ, মুখ খুলে বড় চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-র বোঝাপড়ার অভিযোগ মাঝে মধ্যেই তোলে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস৷ তৃণমূলের ব্লক সভাপতির এই অভিযোগে বাম-কংগ্রেসের দাবিও জোরালো হল৷
তবে এই প্রথম নয়, কয়েকদিন আগেও বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করতে তৃণমূল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা৷ তাতেও অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক দল৷ তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, দল বিরোধী মন্তব্য করলে ওই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে৷