অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতার এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ৷ খোঁজ নেই অপহৃত নাবালিকারও৷ দুর্গা পুজোর দশমীর দিন এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে কি বড় দায়িত্ব নেবেন মুকুল রায়? রাজনৈতিক মহলে শুরু জল্পনা
নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল ওই যুব তৃণমূল নেতা। কিন্তু মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার বাবা বাধা হয়ে দাঁড়ান। বাধা দিলে মারধর করা হয় মেয়েটির বাবাকে।
advertisement
অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম আনন্দ দাস৷ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার কৈথড় গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক কসবা এক নম্বর অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি৷ অপহৃত নাবালিকার বাড়িও মারিশদা থানার মশাগাঁ গ্রামে৷
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল ওই তৃণমূল নেতা৷ নাবালিকার পরিবার এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিল৷ সেই জন্য নাবালিকার মাকেও ওই তৃণমূল নেতা হুমকি দেন বলে অভিযোগ৷ শেষ পর্যন্ত দুর্গা পুজোর দশমীর দিন রাতে নাবালিকার বাড়িতে সদলবলে চড়াও হন আনন্দ দাস৷
আরও পড়ুন: নিজের স্বার্থে পরিবারকেও ঢাল করেন মানিক, আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডি-র
ঘটনার পরে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তৎপর হয়নি বলে অভিযোগ৷ পরে অবশ্য পুলিশ ওই যুব নেতাকে ধরতে উদ্যোগী হয়৷ গতকাল দুপুরে এগরা এবং মারিশদা থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দেয়৷ যদিও সেখানে তাঁর খোঁজ মেলেনি৷ আনন্দ দাসের পরিবারের অন্য সদস্যরাও গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ অন্যদিকে মেয়ের জন্য চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে নাবালিকার বাবা-মায়ের৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে৷ বিজেপি-র তরফে কটাক্ষের সুরে বলা হচ্ছে, শাসক দলের নেতাদের সামনে নাবালিকারাও সুরক্ষিত নয়৷ অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্ত যুব নেতাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কোনওভাবেই অভিযুক্তের পাশে দাঁড়াবে না দল৷