নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত তিন মাস আগে৷ কিন্তু এতদিন ভয়ে মুখ খোলেননি তিনি৷ কারণ বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কাউন্সিলরই তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার, রাজ্যে রেকর্ড গড়ছে ডেঙ্গি! রক্তচক্ষু কলকাতাতেও
নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই খড়্গপুর শহরে নিজের বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি৷ সেখানেই এস অরবিন্দ রাও নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর৷ এর পরেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবক তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ সেই অভিযোগের কথা জানতে পেরে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা জানান বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূলে আসা কাউন্সিলর মুকেশ হুমনে৷
advertisement
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ২৫ জুলাই দুপুর তিনটের সময় ওই তরুণীকে খড়্গপুরের বড় আয়মার এলাকার পার্টি অফিসে ডাকেন ওই কাউন্সিলর৷ সেখানে ওই কাউন্সিলর ছাড়াও অভিযুক্ত প্রেমিক এবং তার এক বন্ধুও ছিল৷ এর পর তিন জন মিলে পার্টি অফিসের মধ্যেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: 'আসল কথা বার করে ছাড়বেই', দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তোলপাড়! রেয়াত নয় কাউকে
ঘটনার পরই খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ জানান ওই তরুণী৷ কিন্তু পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক এস অরবিন্দ রাওকে গ্রেফতার করলেও অভিযুক্ত কাউন্সিলর মুকেশ হুমনে বা প্রেমিকের বন্ধুকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ৷ হুমকির ভয়ে তিন মাস ধরে চুপচাপ বসে থাকলেও গত ২১ অক্টোবর গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার, খড়্গপুরের এসডিপিও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন ওই নির্যাতিতা৷ অভিযুক্তরা তাঁকে বার বার খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেন তিনি৷ ভয়ে নিজের বাড়ি থেকেও তিনি বেরোতে পারছে না বলে দাবি ওই তরুণীর৷ এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রেল শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খড়্গপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত কাউন্সিলর ওই নির্যাতিতার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷ তাঁর আরও দাবি, নিজের দলেরই কয়েক জন তাঁকে ফাঁসাতে টাকা দিয়ে ওই তরুণীকে দিয়ে এই অভিযোগ করিয়েছে৷ গোটা অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ৷