এ দিন উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আসানসোলের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। আসানসোল মহকুমা শাসকের দফতরে করা হয়েছিল স্ট্রং রুম। সেখানেই ছিল কাউন্টিং হয়। সকাল থেকে সেখানে বিভিন্ন দলের নির্বাচনী এজেন্টরা আসতে শুরু করেন। আসেন ভোট গণনার কর্মীরাও। প্রথম রাউন্ডের গণনা থেকেই এগিয়েছিলেন উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তথা আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। রাউন্ড যত এগিয়েছে, বিরোধীদের সঙ্গে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ততই বাড়ে। সপ্তম রাউন্ডের গণনা শেষে দেখা গিয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটে বিরোধীদের পরাজিত করেন আসানসোল পুরসভার মেয়র। আর বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনে জোড়া জয়ে স্বস্তি তৃণমূলের, বিজেপি-কে পিছনে ফেলে আসানসোলে দ্বিতীয় সিপিএম
উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায় পেয়েছেন ৬৬৮৩ ভোট। বাম প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ১২০৬। আর বিজেপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৪৮৫। প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু এলাকায় অশান্তির অভিযোগে উঠেছিল। তবে তৃণমূলের দাবি ছিল শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন বিধান উপাধ্যায়। যিনি এই মুহূর্তে আসানসোল পুরসভার মেয়র। যদিও তিনি পুরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তাঁকে অপ্রত্যাশিতভাবে মেয়র পদে বসানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাই বিধান উপাধ্যায়কে মেয়র পদে বহাল থাকতে হলে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসতে হত। উপনির্বাচনে সেই জয় পেলেন বিধান উপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলে নামবে শাস্তির খাঁড়া! আসানসোল জয়কে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল
এই জয়ের ফলে পুরনিগমের মেয়র পদে বহাল থাকতে আর কোনও সমস্যা থাকল না বিধান উপাধ্যায়ের কাছে। পার্থ অনুব্রত কাণ্ডে তৃণমূল যে অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিধান উপাধ্যায়ের জয় তৃণমূল কর্মীদের আবার কিছুটা চাঙ্গা করবে বলে মত প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিধান উপাধ্যায়ের জয়ের পর বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরাও।
Nayan Ghosh