দলের এই ঘোষণার পরেই বালির বিধায়ক নিজেই সময় ও স্থান ঘোষণা করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ব্যানার দিয়ে প্রচার শুরু করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বালি ব্লক তৃণমূল ও বালি ব্লক যুব তৃণমূলের তরফে রাজ্য তৃণমূল দফতরে একটি অভিযোগ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাজ্য তৃণমূল দফতর থেকে বালি ব্লক তৃণমূলকে নির্দেশ দেওয়া হয় বালি ব্লক তৃণমূলের তরফে নির্দেশ পাওয়ার পরে বৈঠক করে ঠিক করা হয় দলের ঠিক করা দিনেই হবে বিজয়া সম্মেলনী।
advertisement
আরও পড়ুন: সাইকেলের লিক সারাতেন এক সময়, এখন একাই বুর্জ খলিফার ২২ ফ্ল্যাটের মালিক! কে এই ব্যক্তি?
সেই বৈঠকে হাজির থাকেন বিধায়কও। এবার বিধায়কের ডাকা বিজয়া সম্মেলনী নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। আজ সেই বিজয়া সম্মেলনী নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বালিতে। বালি ব্লক তৃণমূলের আয়োজনে রবিবার সকালে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হল বালি খাল এলাকায়। রবিবার একইদিনে দ্বিতীয় বিজয়া সম্মেলনী অর্থাৎ বিধায়কের আয়োজনে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হল বালির রবীন্দ্র সদনে।
আরও পড়ুন: রিনিউ করার জন্য এসেছিল পাসপোর্ট, খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের! এটা কী!
এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে বালির ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, দলের নির্দেশ ও বালি ব্লক তৃণমূলের সভাপতির নির্দেশ মেনেই রবিবার সকালে দলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নিজেই নিজের মতো করে এই অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন, বিধায়ক নিজের অনুষ্ঠান করতে চাইলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে করতে পারেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেই গেটে লাগানো ব্যানারে বালি ব্লক তৃণমূলের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না বলে দল থেকে জানানো হয়েছিল।
এদিকে বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, তার ঠিক করা বিজয়া সম্মেলনীর সঙ্গে সরাসরি দলের কোনও বিষয় নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। বিধায়ক যে সত্যি বলছেন না, তা পরিষ্কার হয় অনুষ্ঠানে লাগানো ব্যানারেই। ব্যানারে দেখা যায় লেখা রয়েছে বালি ব্লক তৃণমূলের পরিচালনায় বিজয়া সম্মেলনী। পরে অবশ্যই দলের চাপে ব্যানারে লেখা ‘বালি ব্লক তৃণমূল’ নাম নীল কাগজ দিয়ে ঢেকে ফেলেন। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে আসে বালি ব্লক তৃণমূল ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব। বিধায়কের ডাকা বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি অবশ্যই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী নিয়ে প্রকাশ্যে আসা গোষ্ঠী কোন্দলে কার্যত মুখ পুড়ল বিধায়কের, দাবি রাজনৈতিক মহলের।