শনিবার বর্ধমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ''রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। এই সত্য আর রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর অজানা নয়। অতীতেও আমরা দেখেছি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে রাজনীতির ময়দানে পর্যুদস্ত হওয়ার পরে তারা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করেছে।বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বিজেপির সেই ট্র্যাডিশান সমানে চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম বড় ঝড়ের হানা! ভাঙল আমাজনের কারখানা, মৃত্যুমিছিল
তিনি বলেন, ''মাস চারেক আগে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যে সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডে তদন্ত চলছে। কিন্তু কখনোই প্রণববাবুর নাম উঠে আসেনি এই মামলায়। রাজ্য জুড়ে যখন পুরভোটের দামাম বেজে উঠেছে, দোরগোড়ায় কলকাতা পুরভোেট তখনই সিবিআই-এর এই অতি সক্রিয়তার কারণ কী? যেহেতু তাঁকে পুর প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাই তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই কি এই নতুন নাটক? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন: BJP জিতলে কলকাতার মেয়র কে? শুভেন্দু অধিকারীর 'বর্ণনা' নিয়ে জারি ধন্দ
তিনি বলেন, ''বিজেপি নেতাদের জেনে রাখা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা দুর্দমনীয় সংগ্রামের মন্ত্রে দীক্ষিত। আমরা দিল্লির কাছে মাথা নত করব না। বরং দিল্লির বুক থেকে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করব। আর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন বা উপনির্বাচনের মতোই আসন্ন পুরভোটগুলিতেও ফলাফল একই হবে। বিজেপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে বর্ধমান তথা বাংলার মানুষ বিজেপিকে পরাজিত করবে।''
এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা সৌমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই পুর প্রশাসককে গ্রেপ্তার করেছে। তৃণমূলের কিছু বলার থাকলে তারা তা আদালতে বলুক। সিবিআইয়ের তদন্তের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।